বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি
বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয়। অনেকেই বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন কিন্তু বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি তা হয়তো জানেন না। এটা আপনাদের জানা খুবই প্রয়োজন তাহলে চলুন জেনে নিন বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি?
বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলো কি এই সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে তাই আপনি যদি বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি
- বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি
- কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সন্তান দানে অক্ষম
- বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
- ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ
- পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়
- শেষ কথা
বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি
বন্ধ্যাত্ব এমন একটি রোগ বা সমস্যা যার হয় তার জীবন একদম অভিশাপের মতো হয়ে যায়। বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি এটা হয়তো এখনো অনেকেরই অজানা। বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি এ বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন। নারী এবং পুরুষ দুজনেরই বন্ধ্যাত্ব সমস্যা হয়ে থাকে।
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে যদি বাচ্চা নিতে চাই তাহলে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু এই দুটির মাধ্যমে বাচ্চা হয়ে থাকে। বাচ্চা জন্মদানের জন্য ছেলেদের শুক্রানুর প্রয়োজন হয় আর মেয়েদের প্রয়োজন হয় ডিম্বাণুর। এই দুটি যখন একত্রে মিলে যায় তখন একটি সন্তান জন্ম নেয় সেখান থেকে। কিন্তু যখন এই ডিম্বাণ এবং শুক্রাণু এর মধ্যে কোনরকম সমস্যা থাকে তখন সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের আগে যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন
বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি যদি আরো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে বলবো বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ হলো ছেলেদের শুক্রানু পরিমাণ কম থাকা অথবা শুক্রানুর মধ্যে কোনরকম সমস্যা থাকা আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের কারণ হলো মেয়েদের ডিম্বাণুর পরিমাণ কম থাকা এবং ডিম্বানুর মধ্যে কোন রকমের সমস্যা থাকা। এই দুটি কারণে মূলত বন্ধ্যাত্ব রোগ হয়ে থাকে। আশা করছি বুঝতে পারলেন বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি?
বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলো কি - কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সন্তান দানে অক্ষম
বন্ধ্যাত্বের কিছু লক্ষণ রয়েছে সে লক্ষণগুলো সকলের জেনে রাখা প্রয়োজন কারণ এ লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে পারবেন যে আপনি বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যায় ভুগছেন। কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সন্তান দানে অক্ষম এগুলো যদি আপনি আগে থেকে জেনে থাকেন তাহলে এরকম লক্ষণ দেখা দিলে আপনি তাড়াতাড়ি সেটার চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। আর সেজন্য জেনে নিন বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলো কি?
- হরমোনের সমস্যা
- মাসিক চক্রের সমস্যা
- সহবাসের সময় অতিরিক্ত ব্যথা করা
- জন্মগত ক্রটি
- ডিম্বাণুর পরিমাণ কম থাকা
হরমোনের সমস্যাঃ বিভিন্ন রকম হরমোন জনিত সমস্যার কারণে বন্ধ্যাত্ব
হয়ে থাকে। যখন হরমোন উঠানামা করে তখন বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা দেয় যেমন ওজন
বৃদ্ধি পাওয়া স্তন বড় হয়ে যাওয়া। মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এ সকল লক্ষণ
যদি দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার হরমোন জনিত কোন সমস্যা রয়েছে আর সে
কারণে হতে পারে বন্ধ্যাত্ব।
মাসিক চক্রের সমস্যাঃ যদি কোন মহিলার মাসিক চক্রের মধ্যে অস্বাভাবিক
কোনো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে এটিও হতে পারে বন্ধাত্বের একটি অন্যতম লক্ষণ।
সহবাসের সময় অতিরিক্ত ব্যথা করাঃ সহবাসের সময় প্রথম প্রথম
ব্যথা করে এটা স্বাভাবিক কিন্তু অনেকদিন যাওয়ার পরেও যদি অতিরিক্ত পরিমাণ
ব্যথা করে সহবাস করতে গিয়ে তাহলে এটিও হতে পারে বন্ধ্যাতের একটি লক্ষণ।
জন্মগত ক্রটিঃ কিছু জন্মগত ত্রুটির কারণেও হতে পারে বন্ধ্যাত্ব
যেমন কারো যদি ডিম্বাণুর পরিমাণ জন্মগত ভাবে কম থাকে এবং অপরিপক্ক জরায়ু এবং
সন্তান জন্মদানের জরায়ু যদি না থাকে তাহলে এতে করে বন্ধ্যাত্ব হতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ চিরতরে খুশকি দূর করতে মাথায় কি ব্যবহার করবেন
ডিম্বাণুর পরিমাণ কম থাকাঃ যদি কোন মহিলার ডিম্বাণুর পরিমাণ কম থাকে। অথবা ডিম্বাণু সঠিক বৃদ্ধি না থাকে তাহলে এটিও হতে পারে বন্ধ্যাত্ব এর অন্যতম একটি লক্ষণ।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ
- শুক্রাণুর সমস্যা
- বীর্যে সমস্যা
- অতিরিক্ত মাদক সেবন
- প্রজনন অঙ্গে সমস্যা
শুক্রাণুর সমস্যাঃ যদি কোন পুরুষের শুক্রানু পরিমাণ কম থাকে এবং শুক্রাণুতে বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকে তাহলে এটি একটি বন্ধ্যাতের অন্যতম লক্ষণ। তাই এরকম টি যদি কারো হয় তাহলে দ্রুত এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
বীর্যে সমস্যাঃ কারো যদি বীর্য জনিত সমস্যা থাকে যেমন অতিরিক্ত পাতলা
বীর্য তাহলে এটিও হতে পারে বন্ধ্যাতের একটি অন্যতম লক্ষণ। তাই এরকম
লক্ষণ যদি দেখতে পান তাহলে এটার জন্য দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
অতিরিক্ত মাদক সেবনঃ অনেক পুরুষ রয়েছেন অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবন
করে থাকেন আর এটিও হতে পারে বন্ধ্যাতের আরেকটি লক্ষণ। অতিরিক্ত মাদক
সেবন করার ফলে আপনি সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন সেজন্য অতিরিক্ত বা
একেবারে মাদক সেবন করা বাদ দিতে হবে।
প্রজনন অঙ্গে সমস্যাঃ কোন পুরুষের যদি প্রজনন অঙ্গে সমস্যা থাকে যেমন অপারেশন অথবা বড় কোন আঘাত লাগে তাহলে সেটাও হতে পারে বন্ধ্যার একটি লক্ষণ। তাই আপনার যদি এই লক্ষণ গুলোর মধ্যে কোনটি লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এটা অনেকেরই অজানা। ভিটামিন ই এর অভাবে বন্ধ্যাতের মতো রোগ হয়ে থাকে। তাই এই বন্ধ্যাত্ব যেন না হয় সেজন্য আগে থেকে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন।
যাতে করে ভিটামিন ই এর কোন রকম ঘাটতি দেখা না দেয়। আপনি যদি ভিটামিন ই জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে এতে করে অনেক ভালো হবে আপনার জন্য এবং বন্ধ্যাত্ব হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ
ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ যদি দেখেন আপনার মাসিক চক্র প্রতি মাসে ঠিক সময়ে হচ্ছে না তাহলে এটি হতে পারে ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ। সেজন্য যদি আপনার প্রতি মাসে মাসিক চক্র ঠিক না থাকে তাহলে এটার জন্য দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এবং ওভুলেশন চেক করার জন্য একটি ওভুলেশন টেস্ট কিট কিনতে পাওয়া যায় সেটি কিনে আপনারা পরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে ডিম্বাণু বের হচ্ছে কিনা।
এছাড়াও বিভিন্ন রকম হরমোন জনিত সমস্যার কারণে অনেক সময় ডিম্বাণু বের হয় না। তাই এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়
মহিলাদের যেমন বন্ধ্যাত্ব এর মত সমস্যা হয়ে থাকে তেমনি পুরুষদের ক্ষেত্রেও বন্ধ্যাত্ব হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি একজন পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জানা প্রয়োজন পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায় হলো সঠিক কিছু খাবার খাওয়া এবং সঠিক নিয়মে চলাফেরা করা এগুলো করতে পারলেই বন্ধ্যাত্ব এর মত অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
১। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য বেশি বেশি শাকসবজি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বেশি বেশি শাকসবজি জাতীয় খাবার খেলে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করা সম্ভব।
২। যদি কোন পুরুষ বন্ধ্যাত্ব এর মত সমস্যাই তাহলে তার উচিত হবে ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা। কারণ অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার বন্ধ্যাত্ব রোগের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর সেজন্য বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
আরো পড়ুনঃ হযরত কাকে বলা যাবে - হযরত কাকে বলে
৩। বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য খেতে পারেন বাদাম কারণ বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা আমাদের দেহের সকল পুষ্টিগুণ মেটাতে সাহায্য করে থাকে। তাই এ সকল পুষ্টি গুণ মিটিয়ে বন্ধ্যাত্ব ভালো করতে নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন।
৪। ভিটামিন ই এর অভাবে বন্ধ্যাত্ব হয়ে থাকে তাই বন্ধ্যাত্ব ভালো করতে চাইলে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং প্রতিদিনের খাবার তালিকার মধ্যে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। আশা করছি বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি সহ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারলেন।
বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কিঃ শেষ কথা
বন্ধ্যাত্ব কেন হয় ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ কি বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলো কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সন্তান দানে অক্ষম বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায় কি এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আপনারা এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন তার পরেও যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url