হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় - হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম
হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় এই সম্পর্কে জানতে চান বা খুঁজছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমাদের ভেতরে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য। চলুন তাহলে আর দেরি না করে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় - হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম
ভূমিকা
হাঁটুর ব্যথা এমন একটি অসুখ যা সব বয়সে হতে পারে। এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়। এটি এক বা একাধিক, জয়েন্ট কে আক্রমণ করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রতি ৫ জনের একজনই এই রোগে আক্রান্ত। হাঁটু মানুষের শরীরের সমস্ত ওজন বহন করে এবং আমাদের দাঁড়াতে, হাঁটতে ও দৌড়াতে সাহায্য করে। হাঁটু মূলত একটি জটিল অস্থিসন্ধি যা ফিমার, প্যাটেলা এবং টিবিয়া নামক তিনটি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। এছাড়াও এ জয়েন্ট অনেক মাংসপেশির ও সন্ধি বন্ধনীর সাহায্যে সংযুক্ত। হাঁটুর জয়েন্টের ভেতরটা সাইনোভিয়াল মেমব্রেন বা ঝিল্লি দিয়ে ঢাকা থাকে।
এই সাইনোভিয়াল মেমব্রেন সাইনোভিয়াল স্লাইড তৈরি করে যা হাঁটুর ঘর্ষণজনিত ক্ষয় রোধ করে। হাঁটুর জয়েন্টের চারপাশে থাকে সূক্ষ্ম নার্ভের জালিকা যা হাঁটুতে তৈরি হওয়া ব্যথার অনুভূতি ব্রেইনে পাঠিয়ে দেয় এবং আমরা হাঁটুতে ব্যাথা অনুভব করি। এছাড়াও আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পারবেন হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে।
হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয়
হাঁটুর ব্যথা কম বেশি এখন সবারই প্রায় হয়ে থাকে। তাই আমাদের এই সম্পর্কে ধারণা থাকা অবশ্য। আমাদের জানতে হবে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয়। বিভিন্ন কারণে হাঁটু ব্যাথা হতে পারে। তবে অন্যতম কারণ- হাড়ক্ষয় বাত বা অস্টিওআথাইটিস। এর ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয় কখনো কখনো হাঁটু ফুলে যেতে পারে। হাঁটাচলা করতে, নামাজ পড়তে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে অনেক কষ্ট হয়। আঘাত হাঁটুর ব্যথার একটি বড় কারণ। আঘাতের কারণে মাংসপেশি বা লিগামেন্ট ছিড়ে যায়। কখনো কখনো সরে বা ভেঙ্গে যায়। অনেক সময় ভারী জিনিস ওঠানামা করার কারণে ও হাঁটুতে ব্যাথা হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণেও হাঁটু ব্যাথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের আগে যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন
হাঁটুর জয়েন্ট এর ব্যথার কিছু কতিপয় কারণ নিম্নে দেওয়া হলো-
- শারীরিক আঘাত- পথ দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে আহত হলে বা অতিরিক্ত শারীরিক কষ্টের ফলে হাঁটুর সন্ধি স্থলের পারিপার্শ্বিক টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা অস্থি কাঠামো জখম হয়। এই ধরনের আঘাত থেকে হাঁটুর ব্যথা শুরু হয়।
- সংক্রমণ- হাঁটুর সন্ধি স্থলে সংক্রমণ থেকেও হাঁটুর ব্যথা হয়।
- বেকার'স সিস্ট- হাঁটুর সন্ধি স্থলে সাধারণভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে তরল মজুত থাকে। তাকে সিনোভিয়াল ফ্লুইড ও বলা হয়। যা ঘর্ষণ এড়াতে সাহায্য করে এবং সহজদের সন্ধিস্তল নড়াচড়া করা যায়। কোন কোন সময় এই সিনোবিয়াল ফ্লুইড বেশি উৎপাদন হওয়ার ফলে তা হাঁটুর পেছনদিকে জমে যায়। এই ফ্লুইড জমা হয়ে গেলে সেখানে একটি সিস্ট গঠিত হয়ে যায় যাকে বেকার'স সিস্ট বলা হয়। তা থেকে সন্ধিস্তল শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা শুরু হয়।
- অস্টিওআর্থাইটিস- এ অবস্থায় টিস্যু শক্ত হয়ে যায় এবং সন্ধিস্থলের কোমলাস্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যথা শুরু হয়।
- রিউমটয়েড আর্থাইটিস- এটি একটি অটোইমিউন অবস্থা, যখন সংক্রমনের বিরুদ্ধে শরীরে নিজস্ব ক্ষমতার শরীরের বিপক্ষে কাজ করতে থাকে তখন শরীর নিজেই শরীরে নিজস্ব টিস্যু ধ্বংস করে, ফলে যন্ত্রণা হয় এবং সারা শরীরে বিভিন্ন সন্ধিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- বাত- শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে সন্ধিস তলে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয় যাকে বাত বলে।
হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কাদের বেশি হয়
হাঁটুর ব্যথা কোন মারাত্মক রোগ নয়, কিন্তু এই ব্যথা যখন ওঠে তখন সহ্য করার মতো পরিস্থিতি থাকে না রোগী। তাই এ সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিতভাবে জেনে থাকা খুব জরুরী যে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় - হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম। অনেক সময় তীব্র ব্যথার কারণে রোগী আতঙ্কিত হয়ে যায়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জয়েন্টের ব্যথা আগে বুড়ো বয়সে আসলেও এখন ছোট থেকে বড় সকলেই ভুগছে এই একই সমস্যায়। গবেষণা বলছে হাঁটুর ক্ষয় বা সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর শুরু হয়। বিভিন্ন হরমোন জনিত কারণে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের হাঁটুর ব্যথা বেশি হয় এছাড়া পুরনো আঘাতের কারণ ও বিভিন্ন বয়সে হাঁটু ব্যাথা হতে পারে।
হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম
বার্ধক জনিত হাড় ক্ষয়ের কারণে অথবা বাতের ব্যথার জন্য হাঁটুতে ব্যথা হয়। এছাড়াও আগার জনিত কারণে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে। হাঁটুর ব্যাথার পার্মানেন্ট কোন চিকিৎসা না থাকলেও কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলে হাঁটুর ব্যাথা অনেকটাই কমে আবার ভাগ্যক্রমে হাঁটুর ব্যথা ভালো হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আমাদের জেনে থাকা ভালো হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে। চিকিৎসকরা হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার জন্য যে ঔষধ দিয়ে থাকে তা হল- 'ডিক্লোমন ট্যাবলেট'। ডিক্লোমন ট্যাবলেট একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বেদনানাশক ঔষধ। এই নন- স্টেরয়েডাল ড্রাগটির জন্য লক্ষণ যেমন প্রদাহ ব্যথা, জ্বর এবং ঘাট বা জয়েন্ট এর খোলা ভাব উপশমন করতে ব্যবহৃত হয়।
হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আবার জেনে নেওয়া যাক হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। বয়স্করা সাধারণত এ রোগে বেশি ভোগেন। কিন্তু শিশু বা তরুণরা ও মোটে নিরাপদ নয়। তবে সব সময় করা ঔষধ নয় ঘরোয়া উপায়ে হাঁটু ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ চিরতরে খুশকি দূর করতে মাথায় কি ব্যবহার করবেন
চলুন তাহলে কিছু হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় দেখে নেওয়া যাক-
- আইসপ্যাক- তিন চার টুকরো বরফ টাওয়ালে জড়িয়ে হাঁটুর ঠিক যে জায়গায় ব্যথা হচ্ছে সেখানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন।
- মাসাজ থেরাপি- তিন থেকে চার চামচ অলিভ অয়েল গরম করে ব্যথার জায়গায় আলতো হাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করুন, দিনে দু থেকে তিন বার করতে হবে।
- হিট থেরাপি- গরম জলের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটু ডুবিয়ে রাখুন। হট ওয়াটার ব্যাগ ও ব্যবহার করতে পারেন, দিনে দু থেকে তিনবার করতে হবে।
- দুধ- দু কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বাদাম, আখরোটের গুঁড়ো ও সামান্য হলুদের গুঁড়ো ভালোভাবে ফোটাতে হবে। যতক্ষণ না মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হচ্ছে। টানা ২ মাস দিনে একবার এই দুধ খেয়ে যেতে হবে।
- আদা- রোজ চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খান।
- চলাফেরা করুন- যাদের হাঁটুর ব্যথা আছে, তারা কঠিন ব্যায়াম করবেন না বরং ধীরে সুস্থে এক জায়গায় ঘুরতে পারেন এটা অনেক বেশি উপকারী।
- বিশ্রাম- হাঁটুর ব্যথার উপদেশের মধ্যে মুখ্য হচ্ছে বিশ্রাম। যদি আপনি কোন কাজ করার সময় হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে অবিলম্বে সেই কাজ বন্ধ করুন এবং হাঁটুকে বিশ্রাম দিন যাতে অতিরিক্ত ব্যথা এড়ানো যায় এবং সন্ধি স্থল আরো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হোমিও ঔষধ
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে।চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হোমিও ঔষধ সম্পর্কে। হাঁটুর ব্যথা যে কারণেই হোক না কেন হোমিওপ্যাথি রোগীর রোগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি ডাক্তার ঔষধ দেন তাহলে হাঁটুর ব্যথা অবশ্যই ভালো হয় ভালো হবে। দেহের কোন জয়েন্টের ব্যথা বিভিন্ন ট্রিগার যেমন আঘাত প্রদান বা ঘর্ষণের কারণে হতে পারে। এটি বয়সের কারণেও হয়ে থাকে যেমন বাতের ব্যথা।
নিম্নলিখিত হোমিওপ্যাথি গুলির জয়েন্টের ব্যথার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে-
- এসিডাম পিকারিনিকাম।
- অ্যারিস্টোলোচিয়া।
- বেলিস পেরেন্নিস।
- বার্বারিস একুইফোলিয়াম।
- বার্বারিস।
- ক্যালসিয়াম আর্সেনিকোসাম।
- ক্যালসিয়াম কার্বোনিকাম।
- হামামেলিস কুমারী।
- হারপাগোপিথাম।
হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার ব্যায়াম
এতক্ষণ আমরা জানলাম হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে এবার জানব হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে। চলুন তাহলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। হাঁটুর ব্যথা এখন প্রায় ঘরে ঘরে আগে বয়স বাড়লে হাঁটুর ব্যথায় ভোগার কথা শোনা যেত তবে এখন কম বয়সেও হাজার অশান্তি। বছর ত্রিশেও অনেকে হাঁটুর ব্যথায় কাবু হচ্ছেন। বাড়ি থেকে কাজের জেরে আরো বেড়েছে সমস্যা। খাটে বসে কম্পিউটারে মুখ গুঁজে ঘণ্টার পর ঘন্টা কাটছে আর তাতে আরো বাড়ছে সমস্যা। তবে হাঁটু তখনই ভালো থাকবে যখন আপনি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করবেন এতে হাঁটুর ব্যথা পুরোপুরি সেরে হয়তো যাবে না কিন্তু রোজ নিয়মিত ব্যায়ামগুলি করলে ব্যথা কম থাকবে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি ও ই একসাথে খাওয়া যাবে কি
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন ব্যায়ামে ভালো থাকবে হাঁটু-
- লেগ রেজ- মাটিতে টানটান হয়ে শুয়ে দু হাতের তাল মেঝের উপরে রাখুন। এবার বা পাশে আস্তে আস্তে উপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে তুললে ভালো। ৫ সেকেন্ড ওভাবে পা তুলে রাখুন। তারপরে ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন। এই একই পদ্ধতিতে ডান পা ওঠান এবং উপরে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। শুরুর দিকে দু পায়ে চার বার করে এই লেগ লেজ ব্যায়াম করতে পারেন। পরে ক্ষমতা বাড়লে ৮-১০ বার পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
- লায়িং হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ- নিজেই টানটান হয়ে শুয়ে বা পা উপরে তুলুন। এক্ষেত্রে মাটির সঙ্গে পা ৯০ ডিগ্রী কোণে থাকবে। দুহাত বা উড়ুর নিচে রেখে ভারসাম্য বজায় রাখুন। এবার বা হাটু আস্তে আস্তে বুকের কাছে আনার চেষ্টা করুন। ৩০ সেকেন্ড রেখে আবার স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে যান। এভাবে দু পায়েই করতে হবে। ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন পা।
- হাত স্কোয়াট- এই ব্যায়াম করতে হবে দাঁড়িয়ে। হাত দুটি সামনের দিকে তুলে রাখুন চাইলে মুঠোও করতে পারেন। এবার অল্প বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয় অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখে উঠে পড়ুন। এভাবে অন্তত ১ টি স্টেপ করতে হবে। এই হাফ স্কোয়াট করতে সাধারণত ব্যথা হওয়া উচিত নয়। তবে কারো ব্যথা হলেও তা প্রাথমিক নিয়মিত অভ্যাস করলে স্কোয়াট বা হাফ স্কোয়াটে ব্যথা হবে না।
হাঁটুর জয়েন্ট এর শব্দ
নিজে হাত দিয়ে না মটকালেও শরীরে বিভিন্ন অংশের হাড় বা কাঠ নিজে থেকে মটকাতে পারে। কিন্তু আমরা ধরে নিই নিশ্চয়ই হারে কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার হাঁটুতে যদি মটমট শব্দ হয় কিন্তু ব্যথা না করে তাহলে এটি শুধু এক ধরনের শব্দ যা গ্যাসের বুদবুদ ফেটে যাওয়ার কারণে হয়। এরকম শব্দের কারণে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক কিন্তু এই গ্যাস গুলো অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড হচ্ছে সাইনুভিয়াল ফ্লুইড এর অংশ। যা জয়েন কে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে তাই। চিন্তিত হবেন না। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে থাকা ভালো যেমন হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় - হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে।
হাঁটুর আরেকটি অক্ষতিকর শব্দের উৎস হচ্ছে আপনার হাঁটুর টেন্ডন গুলো তার নিজের অবস্থান থেকে সামান্য সরে গিয়ে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এলে হতে পারে মট মট শব্দ। এ ধরনের শব্দ হওয়ার সাথে কোন ব্যথা থাকে না। কিছু মানুষ উপু হওয়ার সময় হাঁটুর ওপর অনেকটি চাপ দেয় এর ফলে হাঁটুর জয়েন্টে অনেক বেশি চাপ পড়ে এর ফলে তাদের তরুণ আস্তিক ক্ষয় হয় এবং এর মসৃণতা কমে যায়। হাঁটু ভাঁজ করার সময় অস্থির ও তরুণাস্তির মধ্যের ঘর্ষণের কারণে শব্দ সৃষ্টি হয়। যদি এ ধরনের শব্দের সাথে সাথে হাঁটুতে ব্যাথা হয় তাহলে একজন চিকিৎসককে দেখানো ভালো। চিকিৎসক হয়তো আপনাকে কাছ থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পরামর্শ দেবেন।
যে কারণে হাটুতে শব্দ হওয়ার পাশাপাশি ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে-
- মিনিসোকাস টিয়ারস- মিনিসোকাস হচ্ছে রাবারের মতো সি আকৃতির যা হাঁটুকে নিরাপত্তা দেয় এবং আঘাত শোষণ করে নেয়। হাঁটুর অস্থিগুলো যেন পরস্পর ঘষা না লাগে সেজন্য সাহায্য করে এটি। খেলার সময় বা হঠাৎ করেই হাঁটু ভাঁজ করলে মিনিসোকাস এর মধ্যে চিড় ধরে। তার ফলে হাঁটুতে শব্দ হওয়ার সাথে সাথে ব্যথা অনুভূতি হয়।
- তরুণাস্থিতে আঘাত- কখনো কখনো অস্থিকে ঢেকে রাখা তরু নাস্তিতেও আঘাত লেগে ফাটল ধরতে পারে এক্ষেত্রে হাঁটুতে ফোলা দেখা যায় বা সংক্রমণ হয়।
হাটু ব্যাথার ট্যাবলেট
আমরা যদি আগে থেকেই জেনে থাকি হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় - হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে তাহলে রোগ নিরাময় বা রোগ থেকে বাঁচার জন্য পূর্ব থেকে স্বাস্থ্যের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে পারব। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় হাঁটুর ব্যথার কারণে রোগী অস্থির হয়ে পড়ে। তখন তৎক্ষণিক চিকিৎসকের আশ্রয় গ্রহণ করেন। চিকিৎসকরা হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার জন্য যে ঔষধ দিয়ে থাকে তা হল- 'ডিক্লোমন ট্যাবলেট'। ডিক্লোমন ট্যাবলেট একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বেদনানাশক ঔষধ। এই নন- স্টেরয়েডাল ড্রাগটি বাদ জন্য তো লক্ষণ যেমন প্রদাহ ব্যথা, জ্বর এবং ঘাট বা জয়েন্ট এর খোলা ভাব উপশমন করতে ব্যবহৃত হয়।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় - হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url