গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে আলোচনা করব। ফরজ ভাবে গোসল করার জন্য আমাদের গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি এই সম্পর্কে জানা উচিত। আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পরে জানতে পারবেন গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তাই ঈমানের অঙ্গ। আর এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকার জন্য গোসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি।
পেজ সূচিপত্রঃ গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি
ভূমিকা
আমরা সবাই জানি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য গোসল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঈমানদারকে সবসময় শারীরিক পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। অজুর পাশাপাশি তাকে সময়-সুযোগ ও সুবিধা-আবশ্যিকতা অনুপাতে গোসল করতে হয়। রাসূলুল্লাহ (স.) অপবিত্র দূর করার জন্য গোসল করার তাগিদ দিয়েছেন।
আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন গোসলের ফরজ কয়টি ও গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি বিস্তারিতভাবে।
গোসলের ফরজ কয়টি
গোসল করলে মানুষের শরীর পরিচ্ছন্ন হয়। আলাদা একটা আবেশ ও চঞ্চলতা কাজ করে। শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে, ফলে শরীর ও স্বাস্থ্য ও মন ঠিক রাখতে গোসলের ভূমিকা অপরশীল। এছাড়াও গোসল শরীয়তের আদেশও বটে। তাই কোন কোন সময় গোসল ফরজ হয় এবং কখন গোসল করা আবশ্যক তা জেনে রাখা জরুরি। কারণ কেউ যদি সঠিকভাবে ফরজ গোসল করতে না পারেন তাহলে তিনি অপবিত্র রয়ে যাবে। ইসলামিক শরীয়ত অনুসারে গোসলের ফরজ- ৩টি।
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি
যথাযথভাবে ফরজ পালন করে গোসল করার জন্য আমাদের গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি ও ই একসাথে খাওয়া যাবে কি
গোসল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য গোসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ধর্মে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়। আর এই ঈমানের অঙ্গ কে ধরে রাখার জন্য আমাদের ফরজ মেনে গোসল করতে হবে। ইসলামিক শরীয়ত অনুসারে গোসলের ফরজ ৩টি। যা হলো-
- গড়গড়াসহ কুলি করা: গোসলের প্রথম ফরজ হলো গড়গড়াসহ কুলি করা। মুখের ভেতর অনেক সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে থাকে। গলার ভেতরেও কফ জমে থাকে, তাই গড়গড়াসহ কুলি করলে গলার কফ ও মুখের ভেতর জমে থাকা খাবারের উচ্ছিষ্ট দূর হয়ে যায়। রাসুলল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ফরজ গোসলের অংশ হিসেবে কুলি করতেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস: ২৫৭ ও ২৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৫৬৬)।
- নাকে পানি দেওয়া: গোসলের আরেকটি ফরজ হলো নাকের ভেতর পানি দেওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নাকে পানি দিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একাধিক হাদিস বর্ণিত রয়েছে। (সহিহ বুখারী, হাদিস: ২৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৫৬৬)
- সারা শরীরে পানি দেওয়া: এমনভাবে গোসল করতে হবে যাতে শরীরের কোন অঙ্গ শুকনো না থাকে। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস রয়েছে। সেসব হাদিস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন গোসল করতেন, তখন তার শরীরের সব অংশ ভেজা থাকতো। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২১৭)।
ফরজ গোসলের নিয়ম
ফরজ গোসল ওই গোসল কে বলা হয়, যা করা অপরিহার্য। গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি জানলেও অনেকে ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম জানেন না; ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অসংখ্য মুসলিমের নানা আমল কবুল হয় না। অথচ নামাজের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা ফরজ। যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে, সে যদি গোসলের একটি ফরজ বাদ দিয়ে শতবার গোসল করে, তবুও তার শরীর নাপাক থেকে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফরজ গোসলের নিয়ম।
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম-
- গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
- প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।
- এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধৌত করতে হবে।
- এবার বাম হাতকে ভালো করে ধৌত করতে হবে।
- তারপর 'বিসমিল্লাহ' বলে ওজুর নিয়মের মতো করে ওযু করতে হবে অর্থাৎ "বিসমিল্লাহ" বলে ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধোঁয়া, তিনবার কুলি করা, তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়া, কপালের গোড়া হতে দুই কানের লতি ও থুতনির নিচ পর্যন্ত ধোয়া, প্রথমে ডান হাত ওপরে বাম হাত তিনবার ধোঁয়া, সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।
- অতঃপর প্রথমে মাথায় তিনবার (৩ অঞ্জলি) পানি ঢেলে চুলের গোড়ায় খিলাল করলে ভালোভাবে পানি পৌছাবেন।
- এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে, গোসল এমন ভাবে করতে হবে যাতে বগল, নাভি ও কানের ছিদ্র পর্যন্ত বাহিরের পানি দ্বারা ভিজে যায়। অতঃপর আবার সমস্ত শরীরে পানির ঢালা।
- সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা তিনবার ভালোভাবে ধৌত করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। মেয়েদের মাথার খোপা খোলার দরকার নেই কেবল চুলের গোড়ায় তিন চুল্লু পানি পৌঁছাতে হবে। এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর অজুর দরকার নাই যদি ওযু না ভাঙ্গে। কেন না হযরত আয়েশার (রা.) বলেন নবী মুহাম্মদ (সা.) ফরজ গোসলের পর আর অজু করতেন না। (তিরমিজি: ১০৩, মিশকাত: ৪০৯)।
গোসলের ফরজ দোয়া
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে জেনেছি। চলুন এবার জেনে নি গোসলের ফরজ দোয়া। নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য নামাজের বাইরে যে রুকন গুলো আছে, তার মধ্যে শরীর পাক, কাপড় পাক ও জায়গা পাক হওয়ার কথা আছে। হাদিসে আছে যে আপবিত্র শরীরে, কাপড়ের ও বিছানা পত্রে নামাজ হয় না। ফরজ গোসলের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে তা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। চলুন তাহলে আবার জেনে নেওয়া যাক গোসলের ফরজ দোয়া।
গোসলের দোয়া- "নাওয়াইতুল গোছলা লিরাফইল জানাবাতি'।
ফরজ গোসলের নিয়ত- "নাওয়াইতুল হুছনা লিরাফইল জানাবাতি"।
অর্থ- আমি নাপাকি থেকে পাক হওয়ার জন্য গোসল করছে।
ফরজ গোসলের আগে অবশ্যই এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে, এবং নিয়াতের ও নিয়ম এর মাধ্যমে গোসল সম্পন্ন করতে হবে।
মেয়েদের গোসলের ফরজ কয়টি
ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের গোসলের ফরজ কয়টি। সাধারণত গোসল আমাদের পবিত্রতার একটি অংশ। গোসলের মাধ্যমে একটি মানুষ পবিত্র হতে পারে। নাপাক অবস্থায় কখনো আল্লাহতালার এবাদত করা যায় না, তাই পবিত্র হয়ে আল্লাহতালার এবাদত করতে হয়। গোসল যেমন পবিত্রতার একটি অংশ তেমনি এই গোসল করারও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সেগুলো মেনে গোসল করতে হবে, ফরজ গোসলের সময় যদি একটি ফরজ কাজ ছুটে যায় তাহলে সে নাপাকই থেকে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি ও ই একসাথে খাওয়া যাবে কি
সাধারণত মেয়েদের আলাদা ভাবে কোন ফরজ গোসল এর নিয়ম নেই। ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই একই নিয়মে ফরজ গোসল আদায় করতে হয়। আমরা জানি ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী গোসলের ফরজ তিনটি- গড়গড়াসহ কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া, সারা শরীরে পানি দেওয়া।
ফরজ গোসলের নিয়ম হলো-
- গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
- প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।
- এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধৌত করতে হবে।
- এবার বাম হাতকে ভালো করে ধৌত করতে হবে।
- তারপর 'বিসমিল্লাহ' বলে ওজুর নিয়মের মতো করে ওযু করতে হবে অর্থাৎ "বিসমিল্লাহ" বলে ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধোঁয়া, তিনবার কুলি করা, তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়া, কপালের গোড়া হতে দুই কানের লতি ও থুতনির নিচ পর্যন্ত ধোয়া, প্রথমে ডান হাত ওপরে বাম হাত তিনবার ধোঁয়া, সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।
- অতঃপর প্রথমে মাথায় তিনবার (৩ অঞ্জলি) পানি ঢেলে চুলের গোড়ায় খিলাল করলে ভালোভাবে পানি পৌছাবেন।
- এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে, গোসল এমন ভাবে করতে হবে যাতে বগল, নাভি ও কানের ছিদ্র পর্যন্ত বাহিরের পানি দ্বারা ভিজে যায়। অতঃপর আবার সমস্ত শরীরে পানির ঢালা।
- সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা তিনবার ভালোভাবে ধৌত করতে হবে।
গোসলের ফরজ কয়টি ভিডিও
গোসল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য গোসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ধর্মে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়। আর এই ঈমানের অঙ্গ কে ধরে রাখার জন্য আমাদের ফরজ মেনে গোসল করতে হবে। ইসলামিক শরীয়ত অনুসারে গোসলের ফরজ ৩টি। গোসলের ফরজের ভিডিও-
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়
ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়।
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়-
- স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
- নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
- মেয়েদের হায়েজ হলে।
- ইসলাম গ্রহণ করলে (নব মুসলিম হলে)।
- সন্তান প্রসবের পর রক্তপাত বন্ধ হলে।
- মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া জীবিতদের জন্য।
গোসল কখন সুন্নত
গোসলের যেমন ফরজ রয়েছে তেমনি সুন্নতও রয়েছে। চারটি কারণে গোসল সুন্নত। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কি কি কারণে গোসল সুন্নত। কারণগুলো হলো-
- জুম্মার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত।
- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত।
- ইহরামের জন্য গোসল করা সুন্নত।
- হাজীদের আরাফায় অবস্থানের সময় গোসল করা সুন্নত
গোসলের সুন্নত কয়টি ও কি কি
গোসলের ফরজ কয়টি - গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি এই সম্পর্কে এতক্ষন আমরা জেনেছি। এবার জানব গোসলের সুন্নত কয়টি ও কি কি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
গোসলের সুন্নত ছয়টি। সুন্নতগুলি হল-
- গোসল শুরুর আগে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম পাঠ করা।
- পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা।
- দুই হাতের কব্জি ওজুর মতো তিনবার পরিষ্কার করা।
- কাপড় অথবা শরীরের কোথাও অপবিত্র কোনো কিছু থাকলে গোসলের আগে তা পরিষ্কার করা।
- গোসলের আগে ওযু করা, গোসলের স্থান নিচু হলে ও পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে টাকনুসহ দুই পা পরে পরিষ্কার করা।
- ডানদিকে তিনবার, বাম দিকে তিনবার ও মাথার ওপর তিনবার পানি প্রবাহিত করা।
গোসলের উপকারিতা
শরীর থেকে যে ময়লা বেরোয় তা পরিষ্কার করে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে গোসল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফর্মেশন অনুযায়ী, গরম পানিতে গোসল করার পর শরীরে তাপমাত্রা কমে যায়। যার ফলে ক্লান্তি দূর হয় ও ঘুম আসে। যারা ইনসমনিয়ায় তাদের জন্য রাতে গোসল করা খুবই উপকারী। প্রতিবার ঠান্ডা পানি মাথায় ঢালার সময় ফুসফুস সংকুচিত হয়। এমনটা বারে বারে হওয়ার কারণে ফুসফুসে অক্সিজেনের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবে ফুসফুসের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
শুনলে অবাক লাগতে পারে যে নিয়মিত গোসল করলে মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গোসল করার সময় মস্তিষ্কের ভেতরে ইনফ্লেমেশন রেট কমতে শুরু করে। আরও বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে প্রতিদিন গোসল করার। মহান রাব্বুল আলামিন জানেন কোনটি আমাদের জন্য ভালো আর কোনটি আমাদের জন্য খারাপ, তাই তো তিনি প্রতিদিন আমাদের গোসল করে পবিত্র থাকতে বলেছেন।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি সম্পর্কে। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url