পিরিয়ড না হলে করনীয় - মাসিক না হলে ঔষধ

অনেক মেয়ে রয়েছেন যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না তাই তারা জানতে চেয়ে থাকেন পিরিয়ড না হলে করনীয় কি? সেজন্য আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো পিরিয়ড না হলে করনীয় কি এবং মাসিক না হলে ঔষধ এর নাম কি? তাহলে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন পিরিয়ড না হলে করনীয় কি? 

পিরিয়ড না হলে করনীয়

পিরিয়ড না হলে করনীয় কি এবং মাসিক না হলে ঔষধ এর মাধ্যমে কিভাবে মাসিক হওয়াবেন এই সকল বিষয়ে আহকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আশা করি সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ পিরিয়ড না হলে করনীয় - মাসিক না হলে ঔষধ  

পিরিয়ড না হলে করনীয় 

পিরিয়ড নারীদের কাছে মাতৃত্বের একটা অংশ। স্বাভাবিক ভাবে সব মেয়েদের প্রতি মাসে একবার পিরিয়ড হয়ে থাকে। এটা যদি স্বাভাবিক ভাবে হয়ে থাকে প্রতি মাসে একবার তাহলে ভালো কিন্তু অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের স্বাভাবিক ভাবে প্রতিমাসে পরিয়ড হয় না এমন কি দুই মাসেও একবার হয় না। আর এতে করে নারীদের গর্ভধারনের ক্ষমতা হারাতে পারে। সেজন্য এখন আপনাদের বলবো পিরিয়ড না হলে করনীয় কি?  আপনি যদি এই পিরিয়ড না হলে করনীয় কাজ গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে পিরিয়ড হবে। পিরিয়ড না হলে করনীয় বা যে খাবার গুলো খাবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।

১. মাসিক বা পিরিয়ড নিয়মিত করার জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো ব্যায়াম যদি কোনো মেয়ে করে নিয়মিত তাহলে পিরিয়ড দ্রুত হবে। তাই যাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেছে তারা নিয়মিত ব্যায়াম করবেন।

২. পিরিয়ড না হলে পিরিয়ড নিয়মিত করার জন্য সুষম খাদ্যর গুরুত্ব অনেক বেশি আপনি যদি সুষম খাদ্য এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়ে যাবে। 

আরো পড়ুনঃরোজমেরি তেলের উপকারিতা - রোজমেরি তেল ব্যবহারের নিয়ম

৩. পিরিয়ড না হলে করনীয় কি তার মধ্যে আরেকটি হলো টক জাতীয় ফল খাওয়া মেয়েদের এমনিতেও টক জাতীয় ফল অনেক পছন্দের হয়ে থাকে। টক জাতীয় ফলের মধ্যে যেমন জলপাই তেতুল এবং আরো অনেক কিছু রয়েছে সেগুলো যদি নিয়মিত খেতে পারে তাহলে পিরিয়ড হয়ে যাবে।

৪. পিরিয়ড যদি না হয় তাহলে আদা আপনার জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস হতে পারে। আদা কে আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এই আদার রয়েছে অনেকে ঔষধি গুন। আপনি যদি প্রতিদিন আদা খেতে পারেন অথবা গরম পানির মধ্যে আদা দিয়ে সেই পানি যদি খেতে পারেন তাহলে নিয়মিত পিরিয়ড হয়ে যাবে।

৫। পিরিয়ড নিয়মিত না হওয়ার কারণ হলো আপনার দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরায় এবং কাজে-কর্মে তেমন কোন স্বাস্থ্যকর উপায় নাই সেজন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ভাবে জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে এই সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে।

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করনীয় 

অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের পিরিয়ড নিয়মিত হয় না সেজন্য মাসিক না হলে ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে সেটি করতে চাই। আবার অনেকের রয়েছে হঠাৎ করে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। আর এতে করে তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। যদি হঠাৎ করে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে চিন্তিত হওয়া যাবে না। কারণ হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করনীয় কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আবারও নিয়মিত পিরিয়ড হবে।

যদি হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং দেখতে হবে যে গর্ভে সন্তানের সাথে কি না কারণ করবে যখন সন্তান আসে তখন পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে যদি গর্ভে সন্তান না আসে এবং তারপরেও যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ডিম্বাশয় এর ক্রুটি এর কারনে হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে তাহলে আবারও নিয়মিত পিরিয়ড শুরু হবে।

মাসিক না হলে ঔষধ 

মাসিক না হলে ঔষধ এর মাধ্যমে অনেকেই মাসিক হওয়াতে চান তবে আপনি যদি প্রাকৃতিক নিয়ম নীতি যেমন উপরের অংশে বলে দেওয়া পিরিয়ড না হলে করনীয় কাজগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াতে পারেন। তারপরেও যারা মাসিক না হলে ঔষধ এর মাধ্যমে সেটি করতে চান তাহলে Primolut N নামের এই ওষুধটি খেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ চিরতরে খুশকি দূর করতে মাথায় কি ব্যবহার করবেন

এটি মাসিক হওয়ার জন্য অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ। তারপরে বলবো যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন কারণ আপনি যদি সঠিকভাবে ঔষধ না খেতে পারেন তাহলে এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এতে করে আপনার বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো বাদে কিছু প্রাকৃতিক ঔষধ এবং উপায় রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করে বা খাওয়ার মাধ্যমে নিয়মিত করতে পারেন মাসিক। মাসিক না হলে ঔষধ যেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় যেমন আদা, ভিটামিন সি জাতীয় ফল, তিল, ধনে ইত্যাদি। আশা করছি ভালোভাবে জানতে পারলেন মাসিক না হলে ঔষধ এর নাম। 

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় 

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় এ বিষয়ে যারা জানতে চান তাদের বলবো এক একজন মহিলা একেক রকম অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। একজন মহিলার মা হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  হল পিরিয়ড যেটাকে বাংলাতে বলা হয় মাসিক। যদি মাসিক হওয়ার ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরেও দুই সপ্তাহ চলে যায় তাহলে বুঝতে হবে গর্ভবতীর লক্ষণ তারপরেও পুরোপুরি গর্ভবতী বোঝার জন্য আরো বেশি সময় লাগতে পারে। তাই আপনার যদি মাসিক অনেক দিন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গর্ভবতী টেস্ট করাতে পারেন। এটা শুধু বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে। আর অবিবাহিত মেয়েদের অন্য কোনো সমস্যার কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সহবাসের পর পিরিয়ড না হলে করণীয় 

সহবাসের পর পিরিয়ড না হলে করণীয় কি? বিয়ের পর একটা নারী অনেক কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকে যেমন সহবাসের পর যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে অনেকে মনে করে থাকে যে এটি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বা গর্ভে সন্তান আসার লক্ষণ কিন্তু না এটা একেবারে জোর দিয়ে বলা যাবে না যে সহবাসের পর পিরিয়ড না হলে এটি গর্ভ সন্তান আসার কারণ। 

সহবাসের পর যদি আপনার পিরিয়ড না হয় তাহলে আপনি ডাক্তার এর কাছে গিয়ে পরিক্ষা করে দেখতে পারেন যে আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। সহবাসের ২১ দিন পর যদি আপনার মনে হয় টেস্ট করাতে পারেন তবে এই সময় এ আপনি সঠিক তথ্য নাও পেতে পারেন। সহবাসের পর পিরিয়ড না হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই অন্য কারনেও পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাই একজন গাইনোকলোজিস্ট এর পরামর্শ নিন তাহলে সঠিক একটা পরামর্শ পেয়ে যাবেন। 

পিরিয়ড ২০ দিনের বেশি হলে 

যেকোনো নারীর অনিয়মিত মাসিক হতে পারে এবং হয়ে থাকে এমনটা হলে সবাই চিন্তার মধ্যে পড়ে যায় চিন্তার মধ্যে পড়াটাই স্বাভাবিক কারণ একজন নারীর গর্ভধারনের জন্য নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পিরিয়ড ২০ দিনের বেশি হলে একজন ভালো চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন। এবং ঘরোয়া ভাবে কিছু কাজ করতে পারেন যেমন অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে হবে। সুষম খাদ্য খেতে হবে,আবার ব্যায়াম করতে পারেন তবে অতিরিক্ত করা যাবে না আবার মাসিক না হলে ঔষধ রয়েছে সেটাও খেতে পারেন তবে ঔষধ খেতে হলে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। 

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ 

মেয়েদের সাধারণত মাসিক হয়ে থাকে ২৫ থেকে ৩৫ দিন এর মধ্যে অনেকেই এর তিন দিন মাসিক থাকে আবার অনেক এর ৫ থেকে ৭ দিন থাকে। এভাবে যদি নিয়মিত মাসিক হয় তাহলে এর মাধ্যমে একজন নারী মা হওয়ার ক্ষমতা লাভ কর। কিন্তু অনেকর দুই মাস পযর্ন্ত মাসিক হয় না। কিন্তু সবাই হয়তো জানে না দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি? দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ গুলো নিচে দেওয়া হলো। 

১। যদি কোনো মেয়ে কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ এর মধ্যে থাকে তাহলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

২। হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ হযরত কাকে বলা যাবে - হযরত কাকে বলে

৩। অতিরিক্ত ওজন কম অথবা বেশি হলে মাসিক বন্ধ থাকতে পারে।

৪। আবার মাসিক না হওয়ার আরেকটি কারণ জরায়ুতে যদি টিউমার হয় তাহলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

৫। মাসিক বন্ধ হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো মেয়েরা জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন রকম উপায় অবলম্বন করে যেমন ইনজেকশন নেয়া এবং পিল খাও

পিরিয়ড না হলে করনীয় - মাসিক না হলে ঔষধঃ শেষ কথা 

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারলেন পিরিয়ড না হলে করনীয় কি হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করনীয় কি মাসিক না হলে ঔষধ এর মাধ্যমে যেভাবে হবে কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় সহবাসের পর পিরিয়ড না হলে করণীয় কি পিরিয়ড ২০ দিনের বেশি হলে কি করবেন এবং দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি এই সকল বিষয়ে। আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারলেন তারপরেও যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো তথ্য মূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।  ২৩৩৫৭ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url