গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি - গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে
গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি - গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে ইত্যাদি বিষয়গুলি জানতে আমরা জানবো এই ‘গিমা’ বা ‘গিমে’ নামটি অপরিচিত হলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় তা পাওয়া যায়। তবে সাধারণত এই শাক হাটে-বাজারে খুব একটা দেখা যায় না। এটি দেখতে অনেকটা আগাছার মতো। লতানো চিকন ডাল বিশিষ্ট ছোট ছোট সবুজ পাতা হয়। এদের ফুল সাদা বর্ণের হয়ে থাকে, যা ঝোপের আকারে মাটির সঙ্গে লেগে থাকে, এটি পুকুর ধারেও হয়ে থাকে।
গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি দ্বারা এটি আমাদের দেশে বিভিন্ন পদে রান্না করা হয়ে থাকে। এই শাকের শুধু পাতা খাওয়া হয়ে থাকে যা তিতা স্বাদের। তবে ওষুধ তৈরির কাজে এর কাণ্ড,পাতা,ফুল সবই লাগে। আফ্রিকায় গিমা শাক সালাদ এবং জুস হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি - গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে :
পোস্ট সূচিপত্র: গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি - গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে
- গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি সমূহ
- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন কতটুকু সবুজ শাক বা গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে
- পরিশেষে
গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি সমূহ
- গিমার শাক, বেগুন কুচি কুচি করে প্রয়োজন মাফিক তেল, লবণ, হলুদ এবং পেঁয়াজ দিয়ে ভাজি করে খেতে পারেন।
- গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি দ্বারা এটি ডাল/বেসন এর সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োজনে বড়া বানিয়েও খেতে পারেন।
- এই শাকটি আপনি মাছের সাথে রান্না করেও চমৎকার রেসিপি তৈরী করতে পারেন।
- আমলকির জুসের সঙ্গে এই পাতা বেটে খাওয়া যেতে পারে।
- গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি আরেকটি প্রণালী হলো এটি আলু-বেগুন দিয়ে তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন।
- ডাল থকথকি বা ঘন ডালের সাথে গিমার শাক দিয়েও একটি চমৎকার রেসিপি তৈরী করতে পারেন।
- জন্জিসের সমস্যায় গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এ সময়ে গিমা শাক সিদ্ধ করে পেঁয়াজ, সঙ্কা দিয়ে বেটে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে কড়াইতে নেড়ে ভর্তা বানিয়েও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : কলার থোড় স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ - সস্তায় অধিক স্বাস্থ্যগত উপকার
আলোচনাতে গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি বিষয়ে উপদেশমূলক পরামর্শ / ধারণা প্রদান করা হয়েছে। আসলে আরও কিভাবে সুন্দর সুন্দর রান্না করা যেতে পারে বা রান্না প্রণালীগুলি কি কি ইত্যাদি জানতে চাইলে যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের আলোচনা করতে পারেন অথবা গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হাতের কাছেই আছে আপনার স্মার্টফোন, ইউটিউব-এ দেখে নিতে পারেন।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন কতটুকু সবুজ শাক বা গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে :
USDA এর তথ্য মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ সবজির খেতে পারে। কিন্তু যেহেতু সবুজ শাকগুলি খুব ঘন হয় না, তাই এটি আসলে প্রায় দুই কাপ কাঁচা সবুজ শাকসবজির এক কাপ পরিবেশনের পুষ্টির সমতুল্য করতে লাগে। এটি শক্ত পাতাযুক্ত সবুজ শাকগুলির জন্যও সত্য যেমন-কেল, চার্ড, কলার্ডস এবং বোক চয়।
আরও পড়ুন : সারা শরীর ব্যথা করে কেন - সারা শরীর ব্যথা হলে করনীয়
গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি সম্পর্কে যে বিষয়ে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, কেননা কতটুকু গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে, তা না জেনে কেউ যদি বেশি পরিমাণে গিমার শাক খেয়ে ফেলে তাহলে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। id"3" তবে গর্ভবতী বা প্রসূতি অবস্থায় এটি না খাওয়াটাই উত্তম।
পরিশেষে
গিমা শাক এর খাদ্য পদ্ধতি - গিমা শাক কতটুকু খাওয়া যেতে পারে প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য প্রকাশিত, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসাপত্র সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। প্রতিবেদনটির তথ্যে যদি আপনি উপকৃত অথবা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে তা শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url