সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী
বাংলাদেশে যে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এটি কক্সবাজার-বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে এবং মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) পশ্চিমে, নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ। আজকের আয়োজনে আমরা এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী তা জেনে নিব।
অনেকেই জানেন যে, সেন্টমার্টিন একটি প্রবাল দ্বীপ। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে এই দ্বীপে বেশ কয়েকটি ভালো মানের আবাসিক হোটেল এবং একটি সরকারি ডাকবাংলোও রয়েছে। ভৌগোলিকভাবে এই দ্বীপটি তিনটি অংশে বিভক্ত। উত্তর অংশকে বলা হয় নারিকেল জিঞ্জিরা বা উত্তরপাড়া। দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশকে বলা হয় দক্ষিণপাড়া এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে দক্ষিণ ও পূর্বদিকে বিস্তৃত একটি সংকীর্ণ লেজের মতো এলাকা যা গলাচিপা নামে পরিচিত। এ ছাড়াও আমরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী তা ধীরে ধীরে জানার চেষ্টা করবো :
পোস্ট সূচিপত্র : সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য
সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী - শেষ কথন
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য :
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী ইত্যাদি বিষয়ে জানার সর্বাগ্রে জানতে হবে এর ইতিহাস ও নামকরণ, সীমারেখা, প্রাণীর অসিস্ত, কিভাবে আসা-যাওয়া, থাকা ও খাদ্য গ্রহণের বিষয়গুলি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাস ও নামকরণ :
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১৮ শতকে আরব বণিকরা এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিল এবং সেই সুবাদে তারা এর নামকরণ করেছিল ‘জাজিজা’। এর পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মিঃ মার্টিনের নামানুসারে দ্বীপটির নামকরণ করা হয় ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ’। তবে স্থানীয়রা একে ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ যার অর্থ নারকেল দ্বীপ নামে অভিহিত করে থাকেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১২টি ট্যুরিস্ট স্পট
সেন্টমার্টিন দ্বীপের সীমারেখা :
অনেকেই সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য-র মধ্যে জানেনা যে, বর্তমানে দ্বীপটি একটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ৯টি গ্রাম/অঞ্চল রয়েছে :
১) পশ্চিমপাড়া; ২) দেইলপাড়া; ৩) উত্তরপাড়া; ৪) মাঝের পাড়া (মধ্য পাড়া); ৫) পূর্ব পাড়া; ৬) কোনারপাড়া (প্রান্ত পাড়া); ৭) নজরুলপাড়া; ৮) গোলচিপা (অর্থ-সরু ঘাড়) এবং ৯) দক্ষিণপাড়া।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিভিন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব :
সবথেকে অবাক বিস্ময় হলো এই দ্বীপে প্রাণীর অস্তিত্ব। অর্থাৎ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য-র মধ্যে এই দ্বীপে কতগুলি প্রাণির অস্তিত্ব আছে তা জানতে হবে? বর্তমানে এই দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী ও ১২০ প্রজাতির পাখি এবং ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ইডলি অর্থ কি? - ইডলির উপাদান সমূহ এবং কিভাবে তৈরী করা যায় মজাদার ইডলি
এখানে অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্যাসী শিল কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি এবং মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, রোল করাল মাছ, রাঙ্গা কই, লাল মাছ, উড়্ড়ুকু মাছ। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেয়া, শ্যাওড়া, সাগরলতা ও বাইন গাছ ইত্যাদি।
কিভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাবেন :
সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে হলে প্রথমে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে যেতে হয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যে কোন স্থান থেকে সরাসরি টেকনাফে যাওয়া যায়। আবার ঢাকা থেকে সরাসরি বিমানযোগে কক্সবাজার যেতে পারেন। এরপর কক্সবাজার থেকে লোকাল বাস, মাইক্রো বা জিপ গাড়ি ভাড়া করে টেকনাফে পৌঁছাতে পারেন। এবার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন সকাল থেকে আসা-যাওয়া করে গ্রীনলাইন, ঈগল, কুতুবদিয়া, সুন্দরবন জাহাজগুলি। আপনি যে কোন একটাতে টিকিট কেটে উঠে যেতে পারেন। এ ছাড়াও যাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্পিডবোট চলাচল করে থাকে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী :
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী-র মধ্যে প্রথমেই আমরা রিসোর্টের নামগুলোর জেনে নিই। অর্থাৎ, নিম্নে পর্যায়ক্রমে সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী
- ব্লুমেরিন রিসোর্ট : সেন্টমার্টিন দ্বীপের ফেরি ঘাটের খুব কাছেই ব্লুমেরিন রিসোর্ট।
- প্রাসাদ প্যারাডাইস রিসোর্ট : সেন্টমার্টিন বাজারের ভেতর দিয়ে ব্লুমেরিন রিসোর্ট পার হয়ে আরও কিছুটা উত্তরের দিকে এগিয়ে গেলে সুদৃশ্য প্রাসাদ প্যারাডাইস হোটেল।
- নীল দিগন্তে রিসোর্ট : সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ বীচের কোণাপাড়ায় অবস্থিত নীল দিগন্তে রিসোর্ট।
- প্রিন্স হেভেন রিসোর্ট : উত্তর বিচে অবস্থিত প্রাসাদ প্যারাডাইস সংলগ্ন প্রিন্স হেভেন রিসোর্ট।
- দি আটলান্টিক রিসোর্ট : দি আটলান্টিক রিসোর্ট পশ্চিম বীচে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: বাংলায় আরবি ফুল ও ফলের নাম - আরবিতে বিভিন্ন খাবারের নাম
- ড্রিম নাইট রিসোর্ট : পশ্চিম বীচের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ড্রিম নাইট রিসোর্ট।
- সায়রী ইকো রিসোর্ট: দক্ষিণ বীচে নজরুল পাড়ায় অবস্থিত সায়রী ইকো রিসোর্ট নান্দ্যনিকতায় অনন্য।
- এ ছাড়াও আছে কোরল ব্লু, মারমেইড, দীপান্তর, পান্না রিসোর্ট, সি প্রবাল, সি ইন, হোটেল সাগর পাড়, রিয়াদ গেস্ট হাউজ, হোটেল স্বপ্ন প্রবাল, শ্রাবণ বিলাস, সানসেট ভিউ ইত্যাদি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি-র মধ্যে খাবার হোটেলগুলির নামসমূহ :
সেন্টমার্টিনে সামুদ্রিক মাছের নানা পদের বাংলা খাবার প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। বেশীর ভাগ রিসোর্টেই বারবিকিউ এর ব্যবস্থা থাকে। এ ছাড়াও সেন্টমার্টিন বাজারে বেশ কিছু খাবার হোটেল আছে, আপনি চাইলে সেগুলো থেকেও খাবার খেতে পারেন। যেমন-বিচ পয়েন্ট, আসাম হোটেল, সি বিচ, রিয়েল রেস্তোরা, সেন্টমার্টিন ট্যুরিস্ট পার্ক, বাজার বিচ, হোটেল সাদেক ইত্যাদি হোটেলগুলো থেকে খাবার খেতে পারেন তবে খাবারের আগে অবশ্যই দাম যাচাই করে নিবেন।
সেন্টমার্টিনে গেলে কী কী খাওয়া যেতে পারে :
সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হল ডাব। কারণ এখনকার ডাব অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। এছাড়া যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য কোরলা, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদা ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে দেশী মুরগিকে বলে কুরা অথবা শুটকি মাছও খেতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী :
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ কি জন্য বিখ্যাত?
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ কে আবিস্কার করেন?
- সেন্টমার্টিন কেমন দ্বীপ?
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের জনসংখ্যা কত?
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাস
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের নামকরণ
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের জনসংখ্যা
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের বর্ণনা
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য
- সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী - শেষ কথন :
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারলেন সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী ইত্যাদি সকল বিষয়ে। আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে আপনারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলেন, তারপরেও যদি আরো কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো পর্যটনভিত্তিক, অর্থাৎ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে জানা ও অজানা তথ্য - সেন্টমার্টিন দ্বীপের খাবার হোটেল ও রিসোর্টের নামগুলি কী কী ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url