গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়? নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে - গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
পোস্ট সূচিপত্র: গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়? নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে - গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়?
কী কী কারণে গ্যাস হতে পারে
নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে
গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
সংশ্লিষ্ট প্রশ্নাবলী সমূহ
গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়? নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে - গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - শেষ কথা
গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়?
আরও পড়ুন: জাঙ্ক ফুড কি - জাঙ্ক ফুডের ক্ষতিকর দিকসমূহ
কী কী কারণে গ্যাস হতে পারে :
- খাবারে যদি ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে;
- দীর্ঘসময় খালি পেটে থাকা, খুব তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ না করা;
- অতিরিক্ত চা, কফি, অ্যালকোহল, কোমল পানীয় ও ধুমপান করলে;
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য গ্রহণ, যেমন-অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া, মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ এবং ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া।
- সঠিকভাবে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া;
- অত্যধিক মানসিক চাপ, উদ্বেগের কারণেও গ্যাস হতে পারে;
- প্রয়োজনানুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম না করা;
- কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে;
নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে :
- যদি কেউ দীর্ঘদিন নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে-তা হলো, তাদের এন্ডোস্কোপি করে দেখা গেছে যে, গ্যাস্ট্রিক পলিপ হয়।
- নিয়ন বহির্ভূত গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার ফলে, পাকস্থলীতে আয়রন, ভিটামিট ১২, ম্যাগেনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম শোষণ হয়।
- নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে হিসেবে ভুলে যাওয়া রোগ অর্থাৎ ডিমনেশিয়া হতে পারে।
- নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে তা হলো ফুসফুসে সংক্রমণ বা নিউমেনিয়া হতে পারে।
- যাদের শরীরে লিভার সিরোসিস আছে, তাদের স্পন্টেনিয়াস ব্যাকটেরিয়াল পেরিটোনাইটিস হতে পারে। এ ছাড়াও সালমোনেলা, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর সংক্রমণ হতে পারে।
- দীর্ঘ সময় নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে তা হলো কিডনির মারাত্মক সমস্যা হয়ে থাকে।
- অ্যান্টি গ্যাস ওষুধে সিমেথিকোন বা অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের মতো উপাদান থাকে, যার হালকা বিরূপ প্রভাব থাকতে পারে।
- কিছু অ্যান্টি গ্যাসের ওষুধ বিশেষ করে সাবসালিসিলেটযুক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এই ওষুধগুলো অত্যধিক গ্রহণের ফলে সাধারণ মল ত্যাগে বাঁধা দেয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- গ্যাসের ওষুধ অত্যধিক গ্রহণের ফল অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম :
👉 ওমিপ্রাজল (Omeprazole) : গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম-এর মধ্যে অন্যতম গ্যাসের ওষুধ হলো ওমিপ্রাজল। এই ওষুধটি সাধারণত খাবার গ্রহণের আগেই খেতে হয়। অর্থাৎ সকালে খালি পেটে খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তবে, গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাবার গ্রহণের অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা আগে এবং প্রতিদিন একই নিয়মে ওষুধটি খেতে পারলে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়। ওমিপ্রাজল এর মধ্যে জনপ্রিয় ওষুধগুলা হচ্ছে-সেকরো২০, অমিটিড২০ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণগুলি - প্রতিরোধে করণীয় ভূমিকা
👉 ইসোমিপ্রাজল (Esomeprazole) : ইসোমিপ্রাজল সাধারণত খাবার গ্রহণের আগে বা পরে খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ, গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অথবা খাবার গ্রহণের ১ ঘন্টা আগে খেলে কার্যকারিতা বেশি হয়। ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের মধ্যে জনপ্রিয় ওষুধগুলো হলো-সারজেল২০ ও ম্যাক্সপ্রো২০।
👉 রেবিপ্রাজল (Rabeprazole) : রেবিপ্রাজল খাবারের আগে বা পরে খাওয়া যেতে পারে, তবে গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে অবশ্যই সকালে খালি পেটে বা খাবারের আগে খেলে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যায়। রেবিপ্রাজল গ্রুপের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে ফিনিক্স২০ ও এসিফিক্স২০।
সংশ্লিষ্ট প্রশ্নাবলী সমূহ :
- গ্যাসের ট্যাবলেট এর নাম
- গ্যাসের ঔষধ কখন খেতে হয়
- কি খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়
- গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম
- অতিরিক্ত গ্যাসের ঔষধ খেলে কি হয়
- গ্যাসের সমস্যা
- গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়মিত খেলে কি হয়
- গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়?
- গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url