পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয়

জীবনে বেঁচে থাকার যেমন অন্তকরণ আছে, ঠিক তেমনি অসুখ বা রোগ শরীরে বাসা বাধারও অন্তকরণ আছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, খাদ্যাভাস, বংশগত, খাদ্যাভাস, শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদি নানাবিধ কারণে আমাদের শরীরে অসুখ দানা বাধে যা আমরা বুঝতেও পারিনা। আজকে আমরা পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয়- এ সকল বিষয়ে জানবো।
আলসার একটি জটিল রোগ। এই রোগটি মানুষকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভুগিয়ে থাকে। পেপটিক আলসার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে হয়ে থাকে। অর্থাৎ, এই ব্যাকটেরিয়াটি অস্বাস্থ্যকর খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। তবে সাধারণত যেসব এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হয়, সেখানে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় বেশি। চলুন, পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় ইত্যাদি বিষয়ে নিম্নে আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই:

পোস্ট সূচিপত্র: পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
পেপটিক আলসার কী?
পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী ?
পেপটিক আলসার কেন হয়
পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী
পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় - শেষ কথা

পেপটিক আলসার কী?

পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় এইসব জানার আগে আমাদের জানতে হবে পেপটিক আলসার কী?

আরও পড়ুন: সারা শরীর ব্যথা করে কেন - সারা শরীর ব্যথা হলে করনীয়

একটি পেপটিক আলসার হলো একটি কালশিটে দাগ যা পেট বা ডুডেনামের আস্তরণের সময় দেখা যায়। পেপটিক আলসার পেটের রসগুলিকে সংবেদনশীল ত্বকের নীচে স্পর্শ করতে দেয়, যার ফলে ব্যথা ও জ্বালা সৃষ্টি করে। ‘পেপটিক’ পেপসিন জড়িত, ক হজম সাহায্যকারী যা খাদ্যের প্রোটিনকে ছোট ছোট টুকরো করে ফেলে।

পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী

পেপটিক আলসারের কারণ :

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে পেপটিক আলসার হতে পারে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যথানাশক ঔষুধ খাওয়ার ফলেও এই অসুখ হতে পারে। যেমন-অ্যাসপিরিন, নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্যামেটরি ড্রাগস এবং এনএসএআইডি জাতীয় যে কোনো ব্যথানাশক ঔষুধ খাওয়ার কারণে পেপটিক আলসার হতে পারে।

পেপটিক আলসারের লক্ষণগুলি হলো :

  • পেটের উপরিভাগে ব্যথা করা;
  • পেটের উপরিভাগের অংশে অস্বস্তি অনুভব করা;
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া;
  • ক্ষুধামন্দ বা খাবার গিলতে অসুবিধা;
  • রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে;
  • কালো বা রক্তাক্ত বমি;
  • কালো, টারি মলত্যাগ;
  • ওজন হ্রাস ইত্যাদি।

পেপটিক আলসার কেন হয় :

পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় ইত্যাদি জানার আগে আমাদের জানতে হবে পেপটিক আলসার কেন হয় ?

  • রোগ জীবাণু থেকে। অর্থাৎ, হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক একটি অণুজীবের সংক্রমণ থেকে এই রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • বংশগত কারণে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন নিকটাত্মীয়-স্বজন যদি কেউ এ রোগে ভুগে থাকে তাদের পেপটিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি সবেচেয়ে বেশি থাকে। সাধারণত যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশী দেখা যায়।

আরও পড়ুন: জ্বরঠোসা কেন হয় - জ্বরঠোসা ওঠার কারণ - জ্বরঠোসা সারাবেন কীভাবে? জ্বরঠোসা প্রতিরোধ করার উপায় সমূহ

  • অতিরিক্ত ধুমপানের কারণে এ রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
  • ঔষুধের মাধ্যমে এ রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড জাতীয় ঔষুধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
  • যারা নিয়মিত খাবার খান না বা দীর্ঘ সময় উপোস করে থাকেন, তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশী দেখা যায়।

পেপটিক আলসার কি ভালো হয় :

আসলে, পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় ইত্যাদি সমস্ত কিছু আমরা নিম্নের আলোচনা থেকে জানতে পারবো :
ডাক্তারের পরামর্শ এবং নিয়মিত ঔষুধ গ্রহণ এবং সর্বোপরি জীবনধারা পরিবর্তনে পেপটিক আলসার ভালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে-

  • পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধুমপান বন্ধ করতে হবে।
  • ব্যথানাশক ও এসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • নিয়মিত এবং সময়ানুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • গ্যাসের ওষুধ হিসেবে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ঔষুধ সেবনে উপকৃত হবেন।
  • মানসিক চাপ কমাতে হবে। বিশেষ করে, ধ্যান, গভীর শ্বাস, যোগ ব্যায়াম এবং ম্যাসেজের মতো মন-শরীরের ব্যায়াম চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে পড়া, শখ, সঙ্গীত এবং উষ্ণ স্নানের মতো আরামদায়ক কার্যকলাপের জন্য সময় করুন। প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করেও মানসিক চাপ কমানো যায়।
  • বড় খাবারের পরিবর্তে ছোট এবং ঘন ঘন খাবার গ্রহণ করুন।
  • মশলাদার, চর্বিযুক্ত বা অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • শোবার আগে দুই ঘণ্টা খাবেন না। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে রিফ্লাক্স হতে পারে।
  • অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিহার করতে হবে।
  • ঢিলেঢালা, প্রসারিত পোশাক পরিধান করুন যদি আপনার ফোলাভাব থাকে।
  • শরীরের ওপর অত্যধিক পেশার দেয়া যাবে না, অর্থাৎ শরীর কি বলছে সেটা শুনতে হবে।
  • সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার সময় নিজের পছন্দ মতো খাদ্য গ্রহণ করুন।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী :

  • পেপটিক আলসার ট্রিটমেন্ট
  • পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী 
  • পেপটিক আলসার কেন হয়
  • পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
  • পেপটিক আলসার কাকে বলে
  • পেপটিক আলসারের ঔষধ
  • পেপটিক আলসার রোগীর খাবার
  • পেটে আলসার হলে কি হয়?
  • আলসার রোগের লক্ষণ কি কি?
  • পেপটিক আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
  • পেপটিক আলসার কেন হয়

পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় - শেষ কথা :

পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: হেঁচকি ওঠে কেন - হেঁচকি থামানোর ঘরোয়া উপায়গুলি কি কি

আপনাদের পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url