পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
পোস্ট সূচিপত্র: পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
পেপটিক আলসার কী?
পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী ?
পেপটিক আলসার কেন হয়
পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী
পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় - শেষ কথা
পেপটিক আলসার কী?
আরও পড়ুন: সারা শরীর ব্যথা করে কেন - সারা শরীর ব্যথা হলে করনীয়
পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী
হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে পেপটিক আলসার হতে পারে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যথানাশক ঔষুধ খাওয়ার ফলেও এই অসুখ হতে পারে। যেমন-অ্যাসপিরিন, নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্যামেটরি ড্রাগস এবং এনএসএআইডি জাতীয় যে কোনো ব্যথানাশক ঔষুধ খাওয়ার কারণে পেপটিক আলসার হতে পারে।
পেপটিক আলসারের লক্ষণগুলি হলো :
- পেটের উপরিভাগে ব্যথা করা;
- পেটের উপরিভাগের অংশে অস্বস্তি অনুভব করা;
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া;
- ক্ষুধামন্দ বা খাবার গিলতে অসুবিধা;
- রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে;
- কালো বা রক্তাক্ত বমি;
- কালো, টারি মলত্যাগ;
- ওজন হ্রাস ইত্যাদি।
পেপটিক আলসার কেন হয় :
- রোগ জীবাণু থেকে। অর্থাৎ, হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক একটি অণুজীবের সংক্রমণ থেকে এই রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- বংশগত কারণে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন নিকটাত্মীয়-স্বজন যদি কেউ এ রোগে ভুগে থাকে তাদের পেপটিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি সবেচেয়ে বেশি থাকে। সাধারণত যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশী দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জ্বরঠোসা কেন হয় - জ্বরঠোসা ওঠার কারণ - জ্বরঠোসা সারাবেন কীভাবে? জ্বরঠোসা প্রতিরোধ করার উপায় সমূহ
- অতিরিক্ত ধুমপানের কারণে এ রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
- ঔষুধের মাধ্যমে এ রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড জাতীয় ঔষুধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- যারা নিয়মিত খাবার খান না বা দীর্ঘ সময় উপোস করে থাকেন, তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশী দেখা যায়।
পেপটিক আলসার কি ভালো হয় :
- পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধুমপান বন্ধ করতে হবে।
- ব্যথানাশক ও এসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
- নিয়মিত এবং সময়ানুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- গ্যাসের ওষুধ হিসেবে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ঔষুধ সেবনে উপকৃত হবেন।
- মানসিক চাপ কমাতে হবে। বিশেষ করে, ধ্যান, গভীর শ্বাস, যোগ ব্যায়াম এবং ম্যাসেজের মতো মন-শরীরের ব্যায়াম চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে পড়া, শখ, সঙ্গীত এবং উষ্ণ স্নানের মতো আরামদায়ক কার্যকলাপের জন্য সময় করুন। প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করেও মানসিক চাপ কমানো যায়।
- বড় খাবারের পরিবর্তে ছোট এবং ঘন ঘন খাবার গ্রহণ করুন।
- মশলাদার, চর্বিযুক্ত বা অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন।
- শোবার আগে দুই ঘণ্টা খাবেন না। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে রিফ্লাক্স হতে পারে।
- অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিহার করতে হবে।
- ঢিলেঢালা, প্রসারিত পোশাক পরিধান করুন যদি আপনার ফোলাভাব থাকে।
- শরীরের ওপর অত্যধিক পেশার দেয়া যাবে না, অর্থাৎ শরীর কি বলছে সেটা শুনতে হবে।
- সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার সময় নিজের পছন্দ মতো খাদ্য গ্রহণ করুন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী :
- পেপটিক আলসার ট্রিটমেন্ট
- পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী
- পেপটিক আলসার কেন হয়
- পেপটিক আলসার কি ভালো হয়
- পেপটিক আলসার কাকে বলে
- পেপটিক আলসারের ঔষধ
- পেপটিক আলসার রোগীর খাবার
- পেটে আলসার হলে কি হয়?
- আলসার রোগের লক্ষণ কি কি?
- পেপটিক আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
- পেপটিক আলসার কেন হয়
পেপটিক আলসারের কারণ ও লক্ষণগুলো কী - পেপটিক আলসার কেন হয় - পেপটিক আলসার কি ভালো হয় - শেষ কথা :
আরও পড়ুন: হেঁচকি ওঠে কেন - হেঁচকি থামানোর ঘরোয়া উপায়গুলি কি কি
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url