কীভাবে যোগাসন করে হজম শক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায় - হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো কি কি?
পোস্ট সূচিপত্র: কীভাবে যোগাসন করে হজম শক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায় - হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো কি কি?
কীভাবে যোগাসন করে হজম শক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়
হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো কি কি?
ঘরোয়া উপায়ে হজমশক্তি বৃদ্ধি করা
কীভাবে যোগাসন করে হজম শক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায় - হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো কি কি? - শেষ কথা
কীভাবে যোগাসন করে হজম শক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়:
- প্রথমে কোন সমতল স্থানে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
- এরপর দুই হাত দিয়ে হাঁটু দুটো মুড়ে বুকের কাছে আনতে হবে। তবে মাথা এবং নিতম্ব কিন্তু সোজা মাটির সাথে মিশে থাকবে;
- ঠিক ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে এবং এ সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।
- এরপর হাঁটু দুটো ধীরে ধীরে ডান থেকে বামে এবং বাম থেকে ডানে আস্তে আস্তে নাড়াতে হবে, যেন মাংস পেশিতে চাপটা অনুভব করতে পারা যায়। হয়ে গেলে আবার আগের মত সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন।
- অর্থাৎ প্রতিদিন ১০-১৫ বার বা আপনার শরীরের চাহিদামত করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন-ব্যায়ামটি করার সময় মেরুদন্ড এবং পুরো শরীর সোজা আছে কি না? এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কি না?
আরও পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক কী ও কেন হয়? নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে - গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- প্রথমে কোন সমতল স্থানে উপুড় হয়ে শুতে হবে এবং পেট ও কপাল যাতে মাটির সাথে মিশে থাকে।
- এরপর বুক ডাউন দেয়ার মত অর্থাৎ, দুই হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে পেছনের দিকে বাঁকা রেখে শরীরকে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলতে হবে।
- এভাবে ১০-১৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরে আবার ঠিক আগের মত শুয়ে পরতে হবে।
- প্রতিদিন যদি ১৫-২০ বার বা আপনার শরীরের চাহিদানুযায়ী করতে পারেন। এক্ষেত্রে খেয়াল অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ব্যায়ামটি করার সময় আপনার হাত দুটো সোজা আছে কি না? কোমরটাকেও মাটি থেকে অন্তত কিছুটা হলেও ওপরে তুলতে হবে, আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কিনা ইত্যাদি।
- প্রথমে কোন সমতল স্থানে উপুড় হয়ে শুতে হবে এবং পেট ও কপাল যাতে মাটির সাথে মিশে থাকে।
- এরপর পা এবং ঘাড় একইসাথে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলতে হবে।
- এরপর দুই হাত দিয়ে দুই পা ধরে শরীরটাকে ব্যান্ড করার প্রচেষ্টা করতে হবে।
- এভাবে ১০-১৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরে আবার ঠিক আগের মত শুয়ে পরতে হবে।
- প্রতিদিন যদি ১৫-২০ বার বা আপনার শরীরের চাহিদানুযায়ী করতে পারেন। এক্ষেত্রে খেয়াল অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ব্যায়ামটি করার সময় আপনার হাত দুটো যাতে সোজা টানটান থাকে, ঘাড় সমান্তরাল থাকবে এবং দৃষ্টি সামনের দিকে এবং আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কিনা ইত্যাদি।
হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো কি কি?
- চিকিৎসকের মতে, হজম শক্তি কমে গেলে দেখা দিতে পারে নানারকম লক্ষণ:
- যেমন-বদহজম, ড়্যাস, পেট ফোলা ভাব, বুক জ্বালা, পেটে ব্যথা, মলত্যাগের সমস্যা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, দুর্বলতা ও মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: মেথির যত পুষ্টিগুণ - মেথির উপকারিতা ও গুণাবলী এবং মেথি খাওয়ার নিয়ম
আবার হজমশক্তি কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণও আছে। যেমন-খাদ্যে ফাইভার না থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা, ফাস্ট ফুডসহ তেল ও মশলাযুক্ত খাবার বেশী খাওয়া, অ্যালকোহল ও ধুমপান করা, মানসিক চাপ, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম না করা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
ঘরোয়া উপায়ে হজমশক্তি বৃদ্ধি করা :
- নিয়মিত এক টুকরো কাঁচা হলুদ হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- এক টুকরো আদাও হতে পারে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে আদা খেতে না পারলেও আদা রস, আদা স্যুপ বা আদা চা-ও খাওয়া যেতে পারে।
- সকালে ১/২ গ্লাস হালকা গরম পানি পার করতে পারলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- যদি কচি পেঁপে পাতার সিদ্ধ পানি খেতে পারেন, তাও হজম শক্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কীভাবে যোগাসন করে হজম শক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায় - হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলো কি কি? - শেষ কথা:
আরও পড়ুন: জাঙ্ক ফুড কি - জাঙ্ক ফুডের ক্ষতিকর দিকসমূহ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url