গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ বা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ
পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ বা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ
কলার যত পুষ্টিগুণ
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ
এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ বা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ - শেষ কথা
কলার যত পুষ্টিগুণ:
আরও পড়ুন: কলার থোড় স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ-সস্তায় অধিক স্বাস্থ্যগত উপকার
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ বা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথমত হলো :
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ :
- কলায় রয়েছে পাইরিডক্সিন বা ভিটামিন বি৬, যা গর্ভাবস্থায় বমি ও বমি ভাব এবং মর্নিং সিকনেস দূর করে। যে কারণে বিশেষজ্ঞগণ গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস কলা খাওয়ার সুপারিশ প্রদান করেন।
- কলাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার শর্করা যা তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। একজন গর্ভবতী নারীর শেষের তিন মাস শরীরে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই এ সময় ডায়েটে কলা রাখাটাই উচিত।
- কলাতে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ে নারীর শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ উঠানামা করতে পারে। সুতরাং গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত কলা খেলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে থাকে।
- গর্ভকালীন সময়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকের এডিমা বা জল পূর্ণ হওয়ার অভিজ্ঞতা পান। এ সময় এডিমার কারণে পায়ের গোঁড়ালি, পা এবং অন্যান্য জয়েন্টগুলো ফোলাভাব হতে পারে। এ সময় নোনতা জাতীয় খাবার পরিহার বা বাদ দিয়ে কলা খেতে হবে, কারণ কলা এই ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের ক্ষুধা কমে যায়, তারা নিয়মিত কলা খেলে উপকার পাবেন। কারণ কলা ক্ষুধা বাড়াতে ও হজম করতে সহায়তা করে।
- গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য মহিলাদের একটি মারাত্মক সমস্যা। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কলা খেতে পারে।
- অনেকের গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক ও অম্বলের সমস্যা হয়, তাই এই সময়ে কলা খেলে অম্বল থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে নিয়মিত কলা খাওয়া শিশুর মস্তিস্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- কলা ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা শিশু ও মা উভয়েরই হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এ ছাড়াও পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যালসিয়ামও প্রয়োজনীয়, তাই গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া জরুরী।
- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কলা খেলে শিশুর গায়ের রং উজ্জল হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ বা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিতীয়ত হলো:
গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ :
আরও পড়ুন: কলার মোচায় যা যা আছে - মধৌষধ কলার মোচা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া কি নিরাপদ বা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ সংক্রান্ত বিষয়ে তৃতীয়ত হলো:
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কতটা অনিরাপদ :
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া অনেক মহিলার কাছে অনিরাপদ হতে পারে, এর কারণগুলো হলো:
- যে সমস্ত মহিলাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তাদের গর্ভাবস্থায় অবশ্যই কলা না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে ডায়াবেটিসের ঝুকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
- যাদের মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার অসুখ আছে, তাদের অবশ্যই কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কলায় থাকা টাইরামিনের উপাদানের কারণে মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথা হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় মাড়ির চারপাশের টিস্যুগুলো আলগা হয়ে যাওয়ায় এগুলো আরও সূক্ষ্ম হয়ে ওঠে। কারণ গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের পরিবর্তনজনিত কারণে এটা হয়ে থাকে। সুতরাং এ সময় কলা খেলে দাঁতে গর্ত সৃষ্টি করার সম্ভবনা রয়েছে।
- যাদের এসিডিটির সামান্যতম সম্ভাবনা আছে, তাদের কলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
- কলাতে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। অত্যধিক হজমের ফলে ফুলে যাওয়া এবং ক্র্যাপিংয়ের মতো সমস্যা হতে পারে।
- কলায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব বেশি, কারণ এতে রয়েছে গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্লুক্টোজ। এটিতে ট্যানিক অ্যাসিডও রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হিসেবে পরিচিত, যা মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
- কালো হয়ে যাওয়া বা অত্যধিক পাকা কলা অথবা যেগুলি বেশ কয়েকদিন ধরে পড়ে আছে এমন কলা না খাওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় নারীদের ভিটামিন ডি প্রয়োজন কেন - এর অভাবে কি হয়
- ডাক্তাররা সাধারণত গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন না, কারণ এতে ফুরোকৌমারিন থাকে, যা অনেক ফল ও সবজিতে পাওয়া যায় পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য। এই রাসায়নিক পদার্থটি মায়ের পাশাপাশি গর্ভের শিশুরও ক্ষতি করতে পারে, তাই গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না।
এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:
- গর্ভাবস্থায় লাল কলা খাওয়া যাবে কি?
- আমি প্রতিদিন কয়টি কলা খেতে পারি।
- গর্ভাবস্থায় করা খাওয়া কেন জরুরি
- কেন গর্ভাবস্থায় কলা এড়িয়ে চলা উচিত?
- গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি উপকার পাওয়া যায়?
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url