পিরিয়ডে ব্যথা হয় কেন - পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
পোস্ট সূচিপত্র: পিরিয়ডে ব্যথা হয় কেন - পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
পিরিয়ড বা মাসিক কী?
পিরিয়ডে ব্যথা হয় কেন
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী
পিরিয়ডে ব্যথা হয় কেন - পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে - শেষ কথা
পিরিয়ড বা মাসিক কী?
পিরিয়ডে ব্যথা হয় কেন :
- পিরিয়ড হওয়ার সময় অনেকের জরায়ুর মুখ সংকুচিত হওয়ার ফলে রক্ত বের হয়ে আসার সময় এ ধরণের ব্যথা অনুভূত হয়, আর এটাকে বলে স্প্যাসমোডিক ডিসমেনোরিয়া। তবে কিশোরী বা তরুণীদের প্রথম পিরিয়ডের সময় এটা লক্ষ্য করা যায়।
আরও পড়ুন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে জেনে নিব প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়সমূহ
- অনেক নারীর জরায়ুতে প্রদাহ বা কোন ইনফেকশন থাকে, তাহলে পিরিয়ডের সময় তলপেট ভারী হয়ে থাকে এবং ব্যথা অনুভূত হয়, একটা অস্বস্তি ভাব তৈরী হয়, বিশেষ করে যখন পিরিয়ডের ফ্লো থাকে তখন অনেক বেশী ব্যথা অনুভূত হতে থাকে।
- জরায়ুতে যদি পলিপ, অ্যাডিনোমায়োসিস, ফ্রাইবয়েড জাতীয় টিউমার থাকে, তাহলেও পিরিয়ড হওয়ার সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
- আবার বেশি ব্লিডিং, জমাট বা চাকা চাকা রক্ত বের হওয়ার সময় জরায়ু সংকুচিত হওয়ার ফলে ব্যথা অনুভূত হতে থাকে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় :
গরম পানি সেক : অর্থাৎ পিরিয়ডের ব্যথায় গরম পানির সেক খুবেই উপকারী। একটি হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটে সেঁকে দিতে পারেন।
পানি পান : পিরিয়ড চলাকালীন সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে। কারণ এই সময়টাতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরী হয়।
আদার রস : আদা অনেক উপকারের মধ্যে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আদা চা পান বা আদা কুচি কুচি করে খেতে পারলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া আদার সঙ্গে মধু, চিনি ও গরম পানি যোগ করে দিনে ৩-৪ বার খেতে পারলে ব্যথা উপশম বা কমে যায়।
অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে পিরিয়ডের ব্যথা কমতে থাকে।পেট ম্যাসাজ : পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তলপেট ও তার আশপাশে আলোতোভাবে ম্যাসাজ করতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পেঁপে : অর্থাৎ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে খাওয়া খুবই উপকারী। কেননা পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারলে তা ব্যথা কমানোর উপশম হিসেবে কাজ করে।
ফ্যাট জাতীয় খাবার : পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বিশেষে করে অ্যালকোহল, ক্যাফেইন যুক্ত পানীয়, তেল ও মশলাযুক্ত খাবারসহ বিভিন্ন ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
গোলমরিচ, মেথি ও কাঁচা হলুদ : গোলমরিচ, মেথি ও কাঁচা হলুদের মিশ্রণ পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যেমন-২ কাপ জলে প্রতিটা জিনিসই এক চা-চামচ করে মিশিয়ে ১০ মিনিট ধরে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে হাল্কা গরম থাকাবস্থায় মিশ্রণটি পান করুন, তবে বেশি ব্যথা শুরু হলে তা দিনে ২-৩ বার পান করতে পারেন।টাইট প্যান্ট : পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কুব বেশি টাইট প্যান্ট পড়া যাবে না, কারণ এতে তলপেটে চাপ সৃষ্টি হবে। নিশ্চেন্তে হাঁটাচলা করতে পারেন এমন সুতি কাপড় পরার চেষ্টা করুন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে :
- পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ব্যথা নাশক ওষুধ যেমন-প্যারাসিটামল, ভিসেরালজিন, এলজিন, বুটাপেন ইত্যাদি এক-দুইদিন খাওয়া যেতে পারে। তবে ব্যথা অতিরিক্ত মাত্রায় হলে বা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- সেকেন্ডারি বা কনজেস্টিভ ডিসমেনোরিয়া হলে অবশ্যই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথার ধরণ বুঝতে হবে, যদি ব্যথা শুরু হওয়ার পরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা চলে যায় তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু যদি এর বেশী সময় ধরে ব্যথা অনুভূত হতে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
- পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ, টিউমারসহ বিভিন্ন রোগের কারণে পিরিয়ডের ব্যথা হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ক প্রশ্নাবলী:
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় ঔষধের নাম
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ব্যয়াম
- পিরিয়ডের ব্যথা হলে কি বাচ্চা হয় না
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানো খাবার
- পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায়
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া
- পিরিয়ডের সময় পা ব্যথা কেন হয়
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url