সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন

তিলের তেল (Sesame oil) আসলে একটি ভেজিটেবল অয়েল। তাই সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন।
জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই তিলের তেলের অসাধারণ সব পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। সেক্ষেত্রে সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন বা আমাদের জানতে হবে।চলুন শুরু করা যাক- 

পোস্ট সূচিপত্র: সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
স্কিনটোন ইভেন করতে
অকালে চুল পাকা রোধ করতে
উকুন দূর করতে
লের খুশকি ও ফাঙ্গাস দূর করতে
হেয়ার ড্যামাজ থেকে চুলকে রক্ষা করতে
ডিপ কন্ডিশনিং করতে
একনে সমাধান করতে
সানবার্ন ও ক্লোরিন বার্ন কমাতে
সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন - শেষ কথা

মূলত তিলের তেল বেশ উচ্চমাত্রায় পুষ্টিকর, কেননা এই তেলে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যেমন-ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স ও ডি রয়েছে। পাশাপাশি এই তেলে রয়েছে কপার, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ও ফ্যাটি এসিড। এ ছাড়াও তিলের তেলে রয়েছে ৪১% লিবনিক এসিড, ৩৯% অলিক এসিড, ৮% পালমিটিক এসিড ও ৫% ষ্টেরিক এসিড। আসলে বিউটি গ্রেড অয়েল আর এডিবল অয়েল কিন্তু সম্পূর্ণই আলাদা। তাই সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কেয়ারে যেই তেল ব্যবহার করবেন, অবশ্যই সেটা কিন্তু রান্নার জন্য নয়। নিম্নে সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ব্যবহার্য্য বিষয়গুলি আলোচিত হলো:

শুষ্ক ত্বকের যত্নে

সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন-এর মধ্যে শুষ্ক ত্বকের যত্নে তিলের তেল ব্যবহার। সাধারণ ময়েশ্চারাইজার হচ্ছে তিলের তেল। পাশাপাশি এতে ডিটক্সিফাইং উপাদান থাকায় ত্বকের শুষ্ক ডেড সেল দূর করে ত্বককে সফট ও হাইড্রেটেড করে তোলে। রাত্রে ঘুমানোর আগে দু’ফোটা তিলের তেল যে কোনো ক্রিমের সাথে মিশিয়ে মুখে মাখিয়ে নিতে পারেন। তবে অবশ্য এই তেল আপনি আপনার পছন্দের ফেইস প্যাকেও লাগাতে পারেন, তবে খুব বেশি না,সর্বোচ্চ দু্ই থেকে তিন ফোটা।

স্কিনটোন ইভেন করতে

সাধারণত তিলের তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায়, যাদের প্যাচি স্কিন বা ত্বকে দাগ ছোপ আছে, তারা দিনে দুইবার এই তেল হালকা করে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে।

অকালে চুল পাকা রোধ করতে

সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন এর মধ্যে অনেকের সময়ের আগেই খুব অল্প বয়সেই চুল পাকা হওয়া শুরু হয়। এরকম ক্ষেত্রে তিলের তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ তিলের তেল একটু ভারী বলে চুলে লাগাতে হলে অন্য কোন হালকা তেল যেমন-অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে হবে। এতে করে অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ এবং এটি চুলকে গাঢ় করে তুলবে।

আরও পড়ুন: গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্নের পরিচর্যা কিভাবে করা যায়

উকুন দূর করতে

উকুন দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে তিলের তেল বেশ উপকারী। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী তিলের তেলের মধ্যে নিম পাতা দিয়ে মাইক্রোওভেনে গরম করে মাথার স্ক্যাল্পে-এ লাগান। তবে অবশ্যই তা পুরো চুলেই ভালোভাবে লাগাতে হবে নইলে উকুন দূর হবে না। ঠিক ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের খুশকি ও ফাঙ্গাস দূর করতে

চুলে খুশকির সমস্যা বা কোনো রকম ফাঙ্গাস ইনফেকশন থাকলে রোজ রাতে তিলের তেল মাথায় দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করতে পারেন। অর্থাৎ ছোট্ট একটি কাপে তিলের তেল নিয়ে তাতে এক চা-চামচ মেথি নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন তা লাগাতে পারেন।

হেয়ার ড্যামাজ থেকে চুলকে রক্ষা করতে

সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন এর মধ্যে চুলের নানারকম ষ্টাইলিং-এর কারণে তা ড্যামাজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে একটি পাকা অ্যাভোকাডো ম্যাশ করে নিয়ে তাতে ৫ চা-চামচ মেশান তিলের তেল (চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারেন) । এরপর পুরো চুলে তা লাগিয়ে ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তবে এটি অবশ্য সপ্তাহে ২ বার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

ডিপ কন্ডিশনিং করতে

২ টেবিল চামচ তিলের তেল, এর সাথে নরমাল হেয়ার-এর জন্য একটা ডিম, অয়েলি হেয়ারের জন্য দুটো ডিমের সাদা অংশ এবং শুষ্ক হেয়ারের জন্য দুটো ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। মোটামুটি ৩০ মিনিট রেখে তা ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে দুইবার করে করলেই দেখবেন মাস খানেকের মধ্যে চুল সুন্দর হয়ে গেছে। অর্থাৎ সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন এর মধ্যে চুলের যত্ন করতে হবে।

আরও পড়ুন: চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার এবং চুল লম্বা করতে মেথির ব্যবহার বা মেথির কাজ কি

একনে সমাধান করতে

তিলের তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় তা একনে সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে। অর্থাৎ  এক্ষেত্রে তিলের তেল অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই তা ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

সানবার্ন ও ক্লোরিন বার্ন কমাতে

সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন এর ক্ষেত্রে সাধারণত যারা নিয়মিত সুইমিং পুলে যান, তাদের পানিতে ক্লোরিন থাকায় স্কিনের বেশ সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সুইমিং পুলে নামার আগে যদি তিলের তেল মেখে নিতে পারেন তাহলে ক্লোনিক আপনার ত্বকের কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। এছাড়াও বাইরে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আসার পর আয়নার দিকে তাকাতে আর মন চায়না। অর্থাৎ সানবার্ন এর সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গোসলের আগে অবশ্যই ভালোভাবে তিলের তেল সারা শরীরে, যেমন-হাত, পা, মুখ, গলা, ঘাড় যেসব জায়গায় বেশি সানবার্ন হয়েছে, সেখানেও ভালোভাবে মালিশ করে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন - শেষ কথা

আশা করছি, সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন আলোচ্যে এগুলো যদি জেনে থাকেন তাহলে আপনাদের উপকারে আসবে।

আরও পড়ুন: সারা বছর কোন কোন ফুল ফোটে - বারোমাসি ফুলের নামের তালিকা - কিভাবে টবে ফুল গাছ লাগানো যায়

সৌন্দর্যচর্চায় তিলের তেলের ১০টি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন বিষয়ক আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন এবং পরবর্তীতে অন্য কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে সেটাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করতে পারেন। এতোক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url