আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? (What is the name of grapes known in the world?)
সারা বিশ্বে নানা প্রকার ফল রয়েছে। কিন্তু অঞ্চলভেদে এবং ভাষাগত ভিন্নতার কারণে এসব ফলের নাম একেক দেশে একেক রকম।তাই, আজকে আমরা আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? সেটা জানার চেষ্টা করবো।
মূলত জানার আগ্রহ মানুষকে অসীম করে তোলে। আর জানার আগ্রহে মানুষ ঘুরে বেড়ায় দেশ হতে দেশান্তরে। ঠিক তেমনই আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? তা জানতে আজকের আর্টিকেলটি পড়াটা খুবই জরুরী।
যে অংশটি পড়তে চান তা ক্লিক করুন:
একটু জেনে রাখা ভালো
পৃথিবীতে ২০৬টি দেশ আছে। আর এই বিশাল পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতির বসবাস। ইতিহাসের পট পরিবর্তন এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নানান দেশের মানুষের রয়েছে নানা প্রকৃতির সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছেদ, ভাষাগত ভিন্নতা, খাবার-দাবার ইত্যাদি। ফলে মানুষের এই বিভিন্নতার কারণে মত পার্থক্য থাকাটাও স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: বাংলায় আরবি খাবারের নাম সমূহ - আরবি দেশের নাম সমূহ
আমাদের কাজের প্রয়োজনে, আত্মীয়তা রক্ষায়, ধর্মীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন ইত্যাদির অভিপ্রায়ে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে, এক দেশে থেকে অন্য দেশে যেতে হয়। এককথায় বলা যায়, যে দেশে যাবো সেই দেশ সম্বন্ধে যদি কিছু অগ্রিম ধারণা নিতে পারি, তাহলে সেটাতো আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো, নই কি? সেই কারণেই আজকে আমরা আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? বা কী বিভিন্ন দেশে তা কী নামে ডাকে তা জানতেই নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনাটি পড়তে হবে।
আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত?
ভারতে আঙুর (Aangur) খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণত এই ফলটি ঘ্রীষ্মকালে বেশি পাওয়া যায়। ভারতবর্ষে নানা জাতের আঙুর ফল পাওয়া যায়, যেমন-সবুজ আঙুর, লাল আঙুর, কালো আঙুর ইত্যাদি।
আমেরিকাতে আঙুর Grape নামে পরিচিত। বর্তমানে আমেরিকাতেও বিভিন্ন প্রজাতির আঙুর দেখতে পাওয়া যায়। যেমন-কনকর্ড, টেম্পে, টেম্পুরা ইত্যাদি। এখানে আঙুর ফল সাধারণত তাজা ও জুস করে খেয়ে থাকে, তবে তা বিভিন্ন মিষ্টান্নেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যতেও আঙুর ফলকে Grape নামে অভিহিত করা হয়। এখানেও অন্যান্য দেশের মত বিভিন্ন ধরণের আঙুর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: জাঙ্ক ফুড কি - জাঙ্ক ফুডের ক্ষতিকর দিকসমূহ
আষ্ট্রেলিয়াতেও আঙুরকে Grape নামে বলা হয়। অন্যান্য দেশের ন্যায় অষ্ট্রেলিয়াতেও বিভিন্ন প্রজাতির আঙুর ফল দেখতে পাওয়া যায়। যেমন-শিরাজ, কেবারনেট, স্যাভিগনন ইত্যাদি।
ফ্রান্সে আঙুরকে Raisin নামে ডাকা হয়। তবে এখানে আঙুরকে তাজা বা শুকনো দুই নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। যেমন তাজা আঙুরের জন্য Raisin de table (for fresh) নামে এবং শুকনো আঙুরের জন্য Raisin (for dried) নামে বলা হয়। বর্তমানে ফ্রান্সে আঙুর ফল বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন, জুস এবং ওয়াইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
জার্মানিতে আঙুরকে Traube নামে অভিহিত করা হয়। এখানেও আঙুরের বিভিন্ন প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, ফ্রান্সে আঙুর ফল দিয়ে জুস, ওয়াইন এবং অন্যান্য সাইট্রাস বেজড খাবারে ব্যবহৃত হয়।
ইতালিতে আঙুর ফলকে Uva নামে বলা হয়। এখানেও অন্যান্য দেশের ন্যায় বিভিন্ন প্রজাতির আঙুর পাওয়া যায়। তবে ওয়াইন তৈরির জন্য আঙুর হচ্ছে সবচেয়ে উপাদান
স্পেনে আঙুরকে Uva বলা হয়। স্পেনেও আঙুরে বিভিন্ন জাত পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত তাজা বা সাইট্রাস-বেজড ডেজার্টে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মেক্সিকোতে আঙুরকে Uva নামে ডাকা হয়। এখানেও আঙুর ফলের বিভিন্ন জাত রয়েছে।
চীনে আঙুর ফলকে 葡萄 (Pútáo) বলা হয়। বর্তমানে চীনে আঙুর তাজা খেয়ে থাকে এবং তা অন্যান্য স্ন্যাকস ও ওয়াইন হিসাবে খেয়ে থাকে।
জাপানে আঙুরকে ぶどう (Budō) নামে ডেকে থাকে। জাপানে এক ধরণের বড় মিষ্টি জাতের আঙুর পাওয়া যায়, যাকে --- নামে জাপানিরা ডেকে থাকেন।
রাশিয়াতে আঙুরকে Виноград (Vinograd) নামে ডেকে থাকে। বর্তমানে রাশিয়াতে বিভিন্ন জুস ও মিষ্টান্ন তৈরিতে আঙুর ফল ব্যবহৃত হয় এবং এখানে শুকনো -- আঙুরও অনেক জনপ্রিয়।
ব্রাজিলে আঙুরকে Uva বলা হয়। অন্যান্য দেশের ন্যায় ব্রাজিলে লাল ও সবুজ জাতের আঙুর খুবই জনপ্রিয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আঙুরকে Grape বলা হয়। এখানেও অনেক প্রজাতির আঙুর পাওয়া যায়। সাধারণত তাজা বা হিসেবে এখানে বেশী আঙুর খাওয়া হয়।
মিশরীয়রা আঙুরকে عنب (Inab) নামে ডেকে থাকে। অন্যান্য দেশের ন্যায় মিশরেও আঙুরের বিভিন্ন জাত পাওয়া যায়, তবে এখানে আঙুর ফল তাজা বা শুকনো হিসেবেই বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে আঙুর ফলকে বাংলায় আঙুর এবং ইংরেজিতে Grape নামে ডাকা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে আঙুর উৎপাদিত হচ্ছে। সাধারণত বাংলাদেশে আঙুর তাজা অর্থাৎ ফল হিসেবেই বেশী খাওয়া হয়, তবে মিষ্টান্ন তৈরিতে, জুস তৈরি করেও খাওয়া হয়ে থাকে।
মোটকথা, আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আঙুরের নাম ভিন্ন হতে পারে, তবে বেশির ভাগ দেশেই আঙুর একটি অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত।
আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত?-শেষ কথা:
আসলে বিভিন্ন দেশে আপেলের নাম প্রায় এক হলেও স্থানীয় ভাষায় উচ্চারণে বা বানান একটু পরিবর্তন হতে পারে। মোট কথা, আপেল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল এর বিভিন্ন জাত ও প্রজাতি মোটামুটিভাবে সব স্থানেই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চিকেন দিয়ে চমকপ্রদ কিছু রেসিপি
আশা করি. আজকের আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? আর্টিকেল থেকে আপনারা আঙ্গুর বিশ্বে কী নামে পরিচিত? ডেকে থাকে, তা ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এ রকম আরও তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পরিশেষে আপেলকে বিভিন্ন দেশে কী নামে ডাকে? বিষয়ক আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url